সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / প্রেমেই সমাধি হল জাহিদের!

প্রেমেই সমাধি হল জাহিদের!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রেমেই সমাধি হল জাহিদের! এমন আলোচনাই সবার মুখে মুখে। গ্রামে ঢুকতেই এমন গুঞ্জন শোনা যায়।নাটোর সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের নবীন কৃষ্ণপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই কৃষক আফাজ উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম জাহিদ।চার বোন এক ভাই তারা।জাহিদ বাবা-মার চতুর্থ সন্তান। বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন এবার দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। জাহিদ কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ইউনিভারসিটিতে পড়ছে। বাবর স্বপ্ন ছেলে লেখাপড়া শেষ করে ব্যাংকার হবে। তাই ছেলেকে বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভারসিটি (আরএসটিইউ) তে ভর্তি করান। ইতিমধ্যে বিবিএ(অনার্স) শেষ করে বে-সরকারী একটি ব্যাংকে ইন্টার্নি শেষ করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে চাকুরির জন্যে আবেদনও শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

শনিবার রাত ৯ টার দিকে কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কে বা কারা কল করে। এরপর সে বাড়ী থেকে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি। রাতে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা রাতে তাকে বিভিন্ন স্থানসহ আশেপাশের নিকট আত্মীয়দের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পায়নি। পরদিন রাত সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয়রা নবীনকৃষ্ণপুর গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গলে জাহিদের ক্ষত-বিক্ষত চোখ উপড়ানো মরদেহ পরে থাকতে দেখে।

জাহিদের মরদেহ দেখে অনেকেই অনুমান করছে, কেউ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় নৃশংসভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে ঐ বাঁশ ঝাড়ের নির্জন স্থানে ফেলে যায়।

জাহিদের বাবা এবং পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা বলেছে, শনিবার রাত নয়টার দিকে কোন একজন তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কারা তাকে ডেকে নিয়ে যায় তা এখনো ধোঁয়াশা থেকে গেছে। পুলিশ ঐ গ্রামের আলী হোসেন ও তার মেয়ে রাণীভবানী সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া, তার মা সহ সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরই গুঞ্জন ওঠে প্রেম ঘটিত বিষয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে।

পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে কাদের সাথে কথা বলে সে বাড়ী থেকে বের হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ করছে। সুরৎহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে ৭/৮ জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচন্ড আক্রোশবশত নৃশংস একটা হত্যাকান্ড এটি। পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হলেও এ ঘটনায় মামলা এখনো দায়ের হয়নি।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …