নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য তুলে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা নামে বাংলাদেশি এক নারী। প্রিয়া সাহার এমন মনগড়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ আপামর জনসাধারণ।
এমনকি এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেয়া ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়।
তবে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের প্রধান বিরোধী দল খ্যাত বিএনপি সমালোচনায় মুখর হলেও প্রিয়া সাহার ইস্যুতে তারা নীরব। এমন বানোয়াট তথ্য দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করলেও তা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করেননি দলটির নেতারাও। এমন বাস্তবতায় অনেকেই বলছেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্য হতে পারে বিএনপির পরিকল্পনা।
এমন অভিযোগ ফেলে দেয়ার না, উল্লেখ করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ইস্যুতে বিএনপি কথা বলে- এটা সবাই জানে। তাদের বক্তব্য যৌক্তিক বা অযৌক্তিক সে প্রসঙ্গে যাব না। কিন্তু তারা যেহেতু বাংলাদেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে ফলে দেশ নিয়ে ছড়ানো মিথ্যাচার বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থান মেনে নেয়া যায় না। কেন তারা নীরব তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রিয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও নিশ্চয় তা বেরিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। প্রিয়া সাহার এমন বানোয়াট তথ্যকে প্রত্যাখ্যান করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যে যার অবস্থান থেকে নানা প্রতিক্রিয়া জানালেও নীরব কেবল বিএনপি। যা নিয়ে এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহল সহ সুশীল সমাজে চলছে সমালোচনা ও বিশ্লেষণ।