নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশকে বিতর্কিত করতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন প্রিয়া সাহা নামের এক বাংলাদেশি নারী। প্রিয়া সাহা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’- এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, বাংলাদেশ বিষয়ে প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তার বিচার চাইছেন নেটিজেনরা। এমনকি তার বক্তব্য সমর্থন করেননি তার সংগঠনের সহযোগীরাও। তারা প্রিয়া সাহার বক্তব্যে বিব্রত বলেও জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রিয়া সাহার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিউবার্ট গোমেজের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে ফোন রেখে দেন।
তবে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা তার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। এ বিষয়ে তিনিই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
প্রিয়া সাহা কিভাবে হোয়াইট হাউজের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এই প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রিয়া সংগঠনের ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে একজন। তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে পাঠানো হয়নি। ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি কিভাবে সাক্ষাত করেছেন তা আমরা জানি না।
প্রিয়া সাহার বেসরকারি সংস্থা সংস্থা ‘শারি’-এর কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্যরাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। জানা গেছে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গত বছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ইতিমধ্যে ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রিয়া সাহার নালিশকে
চক্রান্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে বক্তব্য দিয়েছেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্যের
তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও।
এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট
মিলার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেয়া ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। যা মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তিমূলক বলে জানা গেছে।