নিউজ ডেস্ক:
আপত্তিকর কনটেন্টের বিষয়ে রিপোর্ট করা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকায় এসেছে ফেসবুকের এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিন সদস্যের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল। এই দলে ফেসবুকের বাংলাদেশবিষয়ক কর্মকর্তা শাবনাজ রশীদ দিয়াও রয়েছেন। প্রতিনিধি দলটি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগেও তারা সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে যাওয়া কনটেন্ট-সংক্রান্ত ফ্যাক্ট-চেকার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের সম্পর্কে ফেসবুক ভালোভাবে খোঁজ নিয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে বাংলাদেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিকাশমান বাজার হিসেবে দেখছে ফেসবুক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার সমকালকে জানান, ২০১৮ সালে তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ফেসবুকের সঙ্গে অফিসিয়াল যোগাযোগ স্থাপন করেন। এরপর থেকে ফেসবুকের সঙ্গে নানা পর্যায়ে আলাপ হচ্ছে। এবার সিঙ্গাপুর থেকে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পদস্থ একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং একজন পলিসি অ্যাডভাইজার ছিলেন। অপর কর্মকর্তা ছিলেন বাংলাদেশ বিষয়ে ফেসবুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাবনাজ রশীদ দিয়া। তারা এবার ঢাকায় এসে বিটিআরসিতে গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এতে বিটিআরসির কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে আপত্তিকর কনটেন্টে রিপোর্ট করেন তারাই কর্মশালায় অংশ নেন। কীভাবে ফেসবুকে সঠিকভাবে কোনো কনটেন্টের বিষয়ে রিপোর্ট করতে হয়, সে বিষয়েই তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ফেসবুক প্রতিনিধি দলের প্রধান তাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে চান। এ জন্য তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বাড়াতে চান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আলাপকালে তিনি ফেসবুক প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা আর বাংলাদেশের বাস্তবতা এক নয়। এ কারণে ইউরোপ-আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। এ কারণে ফেসবুকের উচিত বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য পৃথক ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ অনুসরণ করা।
বাংলাদেশে অফিস স্থাপন সম্পর্কে ফেসবুক প্রতিনিধি দল মন্ত্রীকে জানায়, যেসব দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অনেক বেশি, সেসব দেশেই ফেসবুক অফিস স্থাপন করে। শুধু কনটেন্ট সম্পর্কে অভিযোগ গ্রহণের জন্য অফিস স্থাপন করে না। অতএব, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন প্রাসঙ্গিক নয় বলেই তারা মনে করে।