নিউজ ডেস্ক:
একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বনামধন্য প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে, রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অসামান্য অবদান রাখা খ্যাতিমান এ অভিনেতা। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে হাসপাতালে থেকে বাসায় আনা হয়।
দেশবরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া, বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এর আগে, গত বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্টের কারণে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিলো, এটিএম শামসুজ্জামানের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে। ডাক্তাররা সেভাবেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। ভর্তির পর তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। তবে ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এর আগেও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস হাসপাতালে কাটাতে হয় এ অভিনেতাকে।
এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনায় আসেন। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এরপর ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। এছাড়া, শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।