সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ


নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান শেখ হাসিনা। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে যেমন ছিল প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণ, তেমনি স্বাধীন বাংলার সবচেয়ে কঠিন সময় ৭৫ পরবর্তী রাজনীতিতে লড়ে গেছেন অবিচল। নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার ফেরানোর সংগ্রামে।  দীর্ঘ এই পথচলায় পাড়ি দিয়েছেন বন্ধুর পথ- করতে হয়েছে কারাবরণ, থাকতে হয়েছে গৃহবন্দি।  

অন্তত ঊনিশবার হয়েছে তাকে হত্যার পরিকল্পনা। কয়েকদফা ফিরেছেন মৃত্যুর মুখ থেকেও। সব পিছনে ফেলে এখন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বের অন্যতম দৃঢ়চেতা বলিষ্ঠ নেতা তিনি। পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘরে। আজ তার ৭৫তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃটিশ উপনিবেশিক শাসন শেষে সবে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়েছে। এবার তরুণ শেখ মুজিবের স্বপ্ন স্বাধীন বাংলা। লড়াই আর সংগ্রামের জীবন তার। সেসময়ে শেখ মুজিব ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার ঘর আলো করে জন্ম নেন তাদের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা। সেটা ১৯৪৭ এর ২৮শে সেপ্টেম্বর, রবিবার। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে বাবা-মার সঙ্গে ঢাকায়। আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। 

যুক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ১৯৬৬ সালে ইডেন কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ার সময় রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ৬৬’র শিক্ষা আন্দোলন এবং ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। কারাবন্দি পিতার আগ্রহে ১৯৬৭ সালের ১৭ই নভেম্বর পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। 

৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রামের কঠিন দিনগুলোতে ছিলেন অবচিল। প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন মুক্তিসংগ্রামীদের।

১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় স্বামীর সাথে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। শুরু করেন দেশে ফেরার সংগ্রাম। ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন। দলের দুঃসময়ে দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের। একদিকে নানান ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম।

৭৫ থেকে ৯৬। একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। শুরু করেন অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রাম। নেন গণমুখী নানান কর্মসূচি। অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটে কৃষিখাতে- জীবন মানের পরিবর্তন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের।  

২০০৯ সালে ভুমিধ্বস বিজয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

৯৬ এর শাসনামলে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার ছিল তার অন্যতম সাফল্য। দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয়, ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়, ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য উচ্চতায়। দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুদ্ধপরাধীর বিচার।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরষ্কার,২০১১ ও ১৩ সালে সাউথ সাউথ ভিশনারি পুরষ্কার, ২০১৪ সালে শান্তি বৃক্ষ, ২০১০ ও ১৩ সালে জাতিসংঘ পুরষ্কার, ২০১৯ সালে ভ্যাকসিন হিরো উপাধি এবং চলতি বছর এসডিজি প্রোগ্রেস পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। পরিবেশ সংরক্ষনে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরষ্কারেও ভুষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। 

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের পাশাপাশি ঢাকায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি টানেল নির্মাণসহ সাবমেরিন কেনা, মহাশূন্যে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে দেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি।

শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় গতবছর ৩৯তম স্থানে ছিলেন তিনি।

জননন্দিত এ নেত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ভারত, চীনসহ শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এক বানীতে প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …