নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে আঁকা শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে শিল্পীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এবং তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
শনিবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে দুই মাসব্যাপী ‘শেখ হাসিনা: অন দ্য রাইট সাইড অব হিস্ট্রি’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী যৌথভাবে উদ্বোধন করে কূটনীতিকরা এই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্যালারি কসমস সম্প্রতি কসমস আতেলিয়ার৭১-এর সাথে যৌথভাবে কসমস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে। সেখানে সৃষ্টি হওয়া শিল্পকর্মগুলো নিয়েই প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, কূটনীতিকরা যার কাছে সহজেই যেতে পারেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি একজন অসাধারণ নেতা এবং প্রদর্শনীটিতে তার আবেগ ও সংকল্পের অসাধারণ বিষয়গুলো জায়গা পেয়েছে।
বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাসকে সুন্দরভাবে চিত্রায়নের জন্য শিল্পীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডিকসন বলেন, এই ছবিগুলো তার (শেখ হাসিনা) জীবনের বিভিন্ন স্তর এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ ফুটিয়ে তুলেছে। সবগুলো শিল্পকর্ম দেখে আমি মুগ্ধ।
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, শিল্পকর্মগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তকে তুলে আনা হয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও অর্জন নিয়ে এমন একটি আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এখনও তার (শেখ হাসিনা) সাথে সাক্ষাৎ করিনি। যখন তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করব তখন অবশ্যই এই প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা বলবো।
কসমস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান বলেন, সকলেই একমত হবেন যে এখানকার প্রতিটি শিল্পকর্ম নিজস্ব ভঙ্গিতে অনন্য এবং আকর্ষণীয়। শিল্প প্রতিদিনকার বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য নাও হতে পারে, তবে সমাজ ও সংস্কৃতির টিকে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদে এটি আবশ্যক।
তিনি সকল শিল্পীদের ধন্যবাদ জানান যারা অনুষ্ঠানটি সফল করতে অবদান রেখেছেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কসমস সেন্টারে এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে এবং একই সময়ে একসাথে কেবলমাত্র ২০ জন দর্শনার্থী এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করতে পারবেন। প্রদর্শনী পরিদর্শনের সময় দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা এবং একে অপরের থেকে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।