নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত)-এর সংশোধনী প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংশোধনীতে মাদরাসা শিক্ষকগণের পদোন্নতি, স্কেল, অভিজ্ঞতাসহ নানাবিধ অসঙ্গতির সমাধান হয়েছে। সেজন্য দেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৯৫ সালে প্রণীত জনবল কাঠামো অনুযায়ী সল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল, বিধায় মাদরাসায় শিক্ষা দানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় মাদরাসা শিক্ষায় সাধারণ শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাদান করা হলেও শিক্ষক সল্পতার জন্য মাদরাসা শিক্ষা চরম শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছিল।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বারবার দাবি জানিয়ে আসছিল। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে নতুন আঙ্গিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়নে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা জারী করে। নীতিমালায় অসংখ্য সমস্যা ও স্কুল কলেজের নীতিমালার সাথে বিভিন্ন পদে বৈষম্য থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, স্কেলসহ নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (মাদরাসা)-এর সংশোধনীতে এসব সমস্যার অনেকাংশই সমাধান হয়েছে- সেজন্য জমিয়াত নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান। সাথে সাথে এ কাজ তরান্বিত করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করায় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ সংশোধনীর পরও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত)-এ যেসব সমস্যা অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোও চিহ্নিত করে অতি সল্প সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় সমাধান হবে ইন শা আল্লাহ। সাথে সাথে শিক্ষক-কর্মচারী সঙ্কট দূর হওয়ায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষাদানে মনোনিবেশ করার জন্য শিক্ষকগণের প্রতি অনুরোধ জ্ঞাপন করেন জমিয়াত নেতৃবৃন্দ।