নিউজ ডেস্ক:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নসহ মূল্যায়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডব্লিউএমআরআই) প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
লাগসই কৃষিপ্রযুক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কলাকৌশল, উন্নত জাতের গম ও ভুট্টা বীজ উদ্ভাবন, পুষ্টি সংযোজন, অবমুক্তকরণ, উন্নত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সম্প্রসরণ করে নবসৃষ্ট বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট নশিপুর দিনাজপুর কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি সংস্থার মধ্যে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এপিএ সঠিক সময়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম স্থান অর্জন করেছে, যা সদ্য ভূমিষ্ঠ বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনন্য স্বীকৃতিস্বরূপ।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, অত্র ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে গম ও ভুট্টার উন্নত বীজ ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশের ৪টি স্থানে ৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। বিডব্লিউএমআরআই শ্যামপুর রাজশাহী, জয়দেবপুর-গাজীপুর, জামালপুর ও যশোর। এ ছাড়াও বীজ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ও উপকেন্দ্র রয়েছে ঠাকুরগাঁও সদরে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কৌশলগত উদ্দেশ্যের ৩৫টি এবং আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যের ১৭টি সূচকের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এসব সূচকের মধ্যে প্রধান সূচক হলো জাত ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও হস্তান্তরকরণ, কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী স্থাপন, গম ও ভুট্টার প্রজনন ও মানঘোষিত বীজ উৎপাদন, বিতরণ এবং যথাযথ ও সাফল্যজনকভাবে মাঠদিবস ও কর্মশালা পালন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি।
এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিদায়ি মহাপরিচালক ড. এম এছরাইল হোসেন ও ড. মো. আমিরুজ্জামান।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির সভাপতি ছিলেন বিডব্লিউএমআরআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কৃষিতত্ত্ববিদ ড. আবু জামান সরকার এবং এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ছিলেন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফুল আলম।
বিডব্লিউএমআরআইয়ের মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রজননবিদ ড. গোলাম ফারুক এই অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের বিডব্লিউএমআরআইকে প্রথম স্থান অর্জনের সম্মাননার স্বীকৃতি দিয়েছে, এজন্য তিনি সব কৃষিবিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষিশ্রমিক, কৃষক-কৃষানি এবং সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে বার্ষিক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এপিএ’র চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিডব্লিউএমআরআইয়ের প্রথম স্থান অর্জন করায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরেণ্য পশুসম্পদ বিজ্ঞানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কলামিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক, হাবিপ্রবির ডিন প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী অধ্যাপক মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, কৃষিভিত্তিক দাতা সংস্থা সিমিট বাংলাদেশের দিনাজপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক অফিসার কৃষিবিদ মো. এলানুজ্জমান, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ইরির সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার কৃষিবিদ আবু আব্দুল্লাহ মিয়াজী গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই অনন্য অর্জনের জন্য সব কৃষিবিজ্ঞানী কর্মকর্ত-কর্মচারী ও কৃষিশ্রমিক এবং কৃষক-কৃষানিদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন এবং এই অনন্য অর্জনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।