নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
৮ বছরের শিশু প্রতিবন্ধী আনিকাকে নিয়ে বিপাকে পরেছিলেন কৃষক আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী সিমা বেগম। জন্মের পর থেকেই আনিকা প্রতিবন্ধী। কৃষি কাজ করে সংসার চালিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছিলেন। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুকে বসিয়ে রাখার জন্য ছিলো না কোন হুইল চেয়ার।
সরকারী ভাবেও কোন ভাতা কার্ড এখনও কপালে জোটেনি। তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও, ডা.মো.আমিরুল ইসলাম সাগরের জন্মদিন উপলক্ষে, প্রতিবন্ধী মেয়ে আনিকার জন্য বিশেষ উপহার পেয়ে খুশি আলমগীর-সিমা দম্পতি।
বৃহস্পতিবার ( ২৪ নভেম্বর) সকালে হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.মো.আমিরুল ইসলাম সাগর এর ৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবন্ধী শিশু আনিকাকে বিশেষ উপহার দিয়েছেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো, শিশু আনিকার চলাফেরার জন্য উন্নতমানের একটি হুইল চেয়ার, শীতবস্ত্র, খেলাধুলা সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, নতুন পোষাকসহ বিভিন্ন উপকরণ।
শিশু আনিকার মা সিমা বেগম জানান, অনেকদিন যাবৎ এমন একটি চেয়ারের অপেক্ষায় ছিলাম। যে চেয়ার দিয়ে আমার মেয়েকে বসিয়ে রাখতে পারবো এবং বিভিন্ন জায়গা নিয়ে যেতে পারবো। হত দরিদ্র ও আর্থিক সংকট থাকার কারণে মেয়ের জন্য একটি চেয়ারও কিনতে পারিনি। আমার মেয়ের জন্য যে উপহার গুলো দিয়েছেন তার জন্য ডা.সাগরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ডা.মো.আমিরুল ইসলাম সাগর জানান, আজকে আমার ৩০তম জন্মদিন ছিলো। মুলত আমি দীর্ঘদিন যাবৎ গরীব অসহায় হত দরিদ্র মানুষদের ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করে আসছি। ইচ্ছে পূরণ টিমের সদস্যরা আনিকার বিষয়ে আমাকে জানায়। আনিকার মায়ের ইচ্ছে ছিলো শুধু একটি চেয়ার। তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে চেয়ারের পাশাপাশি অনেক কিছু উপহার দেওয়া হয়েছে। এটি আমার ১২তম ইচ্ছে পূরণ হলো। এর আগেও এমন অনেক অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা প্রদান করেছি। আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও দেখুন
সিংড়ায় আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষের
নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়ায় ,,,,,,,,,,,কম খরচে বেশি আয়ের আশায় পতিত জমিতে আদা চাষ শুরু করেছেন নাটোরের …