বুধবার , ডিসেম্বর ২৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার বর্জ্য পরিশোধন হবে ওয়াসার পয়ঃশোধনাগারে

প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার বর্জ্য পরিশোধন হবে ওয়াসার পয়ঃশোধনাগারে

নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীতে বাসা বাড়ির বেশিরভাগ পয়:বর্জ্যের লাইন দেওয়া হয়েছে খাল বা লেকে। এসব বর্জ্যের কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। রাজধানীতে ওয়াসার ধারণ ক্ষমতার বেশি পয়ঃবর্জ্য তৈরি হওয়ার কারণে ওয়াসা সেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষম ছিলো না। এতে গুলশান, বনানী, বারিধারার বেশিরভাগ বাড়ির মালিক বাড়ির পয়ঃসংযোগ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে দিয়েছেন। 

বর্তমানে রাজধানীতে ওয়াসার মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। ৮০ শতাংশ এলাকাতেই পয়:লাইন নেই। ঢাকা শহরে প্রতিদিন তৈরি হওয়া ১৭৫ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্যের মধ্যে মাত্র ৩৫ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য শোধন করতে পারে ঢাকা ওয়াসা। বাকি ১৪০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য ঢাকা ও চারপাশের নদী, খাল এবং জলাশয়ে মিশছে। এর ফলে নগরীর পরিবেশ দূষণ এবং বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পুরো ঢাকার পয়োবর্জ্য লাইনের আওতায় আনতে ২০১৩ সালে ঢাকা মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন মহাপরিকল্পনা তৈরি করে ওয়াসা। ঢাকার চারপাশের নদীদূষণ রোধে পাঁচটি শোধনাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে শোধনাগার প্রকল্প নেয় ওয়াসা। দাশেরকান্দি প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৫ সালে। এই বছরেই কাজ শুরু হলে এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। 

ওয়াসা জানায়, ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’- কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা শহরের পানি ব্যবস্থাপনা আমূল পরিবর্তন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে কতগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরকে একশতভাগ সুয়ারেজ নেটওয়ার্কে মধ্যে নিয়ে আসা এবং পয়ঃবর্জ্য ট্রিট করে নদীতে ফেলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাসেরকান্দি একটা। দাসেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। চীনা প্রতিষ্ঠান এতে কাজ করেছে। 

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মুখপাত্র উপ- প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, দাসেরকান্দি প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ। এটি এখন শিগরিই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে রাজধানীর প্রায় ৫০ লাখ লোক উপকৃত হবে। দাশেরকান্দি শোধনাগার প্রকল্পের নির্ধারিত এলাকার জন্য পাইপলাইন নেটওয়ার্ক একটি আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। ইতিমধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে আনসার-ভিডিপির কম্বল বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জে,,,,,,,,,,,,,, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের অসহায় মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ …