নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতারণার মাধ্যমে দেনমোহরের টাকা আদায় করতে একাধিক মামলা দিয়ে আবু বকর সিদ্দিক নামের একব্যক্তিকে হয়রানির করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের। আজ শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের একটি হোটেলে মিথ্যা মামলা, হয়রানির শিকার ও আবু বক্কর সিদ্দিকের মুক্তির দাবিতে তার পরিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠান করেন আবু বক্কর সিদ্দিকের ভাই কাইউম ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করাকালিন সময়ে আবু বকর সিদ্দিক নিজ পছন্দে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পিরোজপুর জেলার ও বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানার বাঁশেরপুল এলাকার মোঃ আমির হোসেনের মেয়ে মোসাঃ সুমাইয়া ফারজানা মীমকে বিয়ে করে।
এসময় দেনমোহর ৩ লক্ষ টাকার স্থলে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকার নিকাহনামা তৈরী কওে সুমাইয়া ফারজানার পরিবার। একপর্যায়ে আবু বক্করের সাথে স্ত্রী সুমাইয়ার বনিবনা চলতে থাকে। পরে আবু বক্কর রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার পদে চাকুরি করার সুবাদে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথানে ভাড়া বাড়িতে চলে আসে।
আবু বক্করকে তার ভাড়া বাসা থেকে কয়েক ব্যক্তি মাইক্রোতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তার পকেটে হেরোইনের প্যাকেট ঢুকিয়ে র্যাবের হাতে তুলে দেয়। যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করার পর দীর্ঘ ৪ মাস পর কারাগারে থাকার পর জামিন বের হলে আবারও তাকে ২০২৩ সালের ২ মার্চ মাইক্রোতে করে একইভাবে তুলে নিয়ে পকেটে হেরোইন দিয়ে ঢাকার শ্যামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এভাবে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিতে ফেলছে। পরিবার অভিযোগ সুমাইয়া ও তার পরিবার বলছে মোহরানার ৩০ লক্ষা টাকা দিলে মামলা থেকে নিস্কৃতি দেওয়া হবে। তাই সুষ্ঠ তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিককের মা সাকেরা বেগম, বড় ভাই কাইউম ইসলাম, বোন সাহিনা আকতার, চাচী পলিয়ারা বেগমসহ অন্যান্যরা।