নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া (নাটোর):
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল এলাকা দিয়ে প্রবাহিত কয়েকটি খাল, জলাশয় দখল করে ঘের তৈরি করে মাছ মারার প্রস্তৃতি নিয়েছে প্রভাবশালী মহল। প্রায় ১০/১২ কি: মি: এলাকা জুড়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে।
চলনবিল অধ্যুষিত বেড়াবাড়ি, ডাহিয়ার কিছু অংশ, বাঁশবাড়িয়া, তিরাইল, মাগুড়া এলাকা জুড়ে এসব খাল, জলাশয় দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় কৃষকরা খালের পানি জমিতে নিতে পারছেনা। তাছাড়া সাধারন জেলেরা মাছ মারতে পারছে না। কেউ মাছ মারতে চাইলে বাধা দেয়া হচ্ছে। হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। প্রকৃত মৎস্যজীবি পরিবার গুলো কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। তিরাইল এলাকায় আমিরুল, আইয়ুব, হান্নানের নেতৃত্বে এবং বেড়াবাড়ি এলাকায় আনোয়ারের নেতৃত্বে জলাশয় দখল করে অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। তবে প্রভাবশালী ঐ মহলের দাবি তারা তিরাইলের দুটি মসজিদে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে জলাশয় লিজ নিয়েছে এবং প্রায় ৪০/৪৫ জন জড়িত।
অপরদিকে বেড়াবাড়ি পানলি এলাকায় জোড়প‚র্বক জলাশয় দখল করা হয়েছে। প্রভাবশালী দু একজন নেতার জোগসাজশে এসব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল কালাম জানান, এ বিষয়ে কিছু করার নাই। জোড় যার, জলা তার নীতিতে পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইটালী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, কোনো খাল কারো দখল করার এখতিয়ার সরকার কাউকে দেয়নি। এটা ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি নয়। প্রকৃত মৎস্যজীবি কিংবা সাধারন মানুষের অধিকার রয়েছে। যেহেতু চলনবিলের পানি নেমে গেছে, সেহেতু মৎস্যজীবি পরিবারদের মাছ মারার সুযোগ দেয়া উচিৎ।
পরিবেশ উন্নয়ন প্রকৃতি সংরক্ষন ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক রাজু আহমেদ বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়, খাল বিলে মৎস্যজীবি কিংবা সাধারন মানুষের মাছ মারার অধিকার রয়েছে। এসব জলাশয় যে পদ্ধতি তে লীজ দেয়া হয় তা মনগড়া। কিছু স্বার্থনেছী মহল এটি ব্যবহার করছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ওয়ালিউল্লাহ এসব জলাশয় লীজ দেয়ার এখতিয়ার কারো নাই। আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনত ব্যবস্থা করা হবে।