আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাণিজ্য সুবিধা আদায়ে তৈরি পোশাক খাতের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। পোশাকের ন্যায্য দর আদায় এবং বাণিজ্যে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছ থেকে বাণিজ্যে নীতি নৈতিকতার নিশ্চিয়তায় এক সঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ।
ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের মধ্যকার এক বৈঠকে এই বিষয়ে সম্মত হয় দুই পক্ষ। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক তৈরি পোশাকের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, বৈশ্বিক প্রবণতা এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা এবং উভয় দেশ কীভাবে নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাক শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প মূল্যের মৌলিক পোশাক থেকে উচ্চ মূল্যের হাই-অ্যান্ড পণ্য, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার ভিত্তিক পোশাকে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। এসব পণ্যে ভিয়েতনামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভিয়েতনাম এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা থেকে ভিয়েতনাম উপকৃত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদার লড়াইয়ে কখনও বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, আবার কখনও ভিয়েতনাম। ২০২১ সালে ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা হারায় বাংলাদেশ। পরের বছর ২০২২ সালে এই মর্যাদা আবার পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাকে দীর্ঘদিন ধরে চীন প্রধান রপ্তানিকারক দেশ।