নিউজ ডেস্ক:
- প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে টিসিবি
দেশী পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়ে তা সংরক্ষণে অত্যাধুনিক আটটি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে মসলা জাতীয় এই পণ্যটিতে পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় সরকার। এলক্ষ্যে ভরা মৌসুমের উৎপাদিত পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য স্থায়ী সংরক্ষণের জন্য বিশেষ অঞ্চলগুলোতে কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করা হবে। ‘পচনশীল খাদ্যদ্রব্য মজুদের জন্য আধুনিক কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করছে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১৯২ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে প্রাথমিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের বাজারে ভর করছে ‘সেপ্টেম্বর আতঙ্ক’। ওই সময় থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজার খুব চড়া থাকে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বেশি দামে আমদানি করে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। এছাড়া সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরাও অপতৎপতার কৌশল নিয়ে থাকে।
জানা গেছে, পেঁয়াজের স্থায়ী সংরক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে দেশী পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে। কৃষকরা পণ্যটির ন্যায্য দাম পাবেন। ভোক্তারা সারা বছর সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। পেঁয়াজ নিয়ে বন্ধ হবে সব ধরনের কারসাজি। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে আগামী তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সংরক্ষণে অত্যাধুনিক কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ একটি অন্যতম প্রকল্প। এর পাশাপাশি বীজের সরবরাহ বাড়ানো, চাষাবাদে ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সঠিকভাবে বাজারজাতকরণ ও গ্রীষ্মকালীন উৎপাদনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে সমৃদ্ধ চার জেলাকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশক কেনায় বিশেষ ভর্তুকি পাবেন কৃষকরা। এছাড়া ব্র্যান্ডিং করতে পেঁয়াজ ঋণ নামে একটি কর্মসূচী চালু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই কর্মসূচীতে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষকদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ দিবে সরকার।