নিজস্ব প্রতিবেদক. হিলি
এখন দেশের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। পেঁয়াজ রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আর কোন এলসির বিপরীতে ভারত থেকে কোন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নাজমুল হক চৌধুরি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে জানান, পেঁয়াজ সংকটের অজুহাতে ভারত সরকার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানি কারক গ্রুপ সভাপতি, হারুন উর রশিদ হারুন জানান, পূর্বের টেন্ডার হওয়া এলসির বিপরীতেও কোন পেঁয়াজ রফতানিতে অনুমতি দিচ্ছেনা ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। রোববার দিনের প্রথমদিকে এবন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে ২৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এদিকে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণায় বন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৫ থেক ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার হিলি স্থলবন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হলেও রোববার তা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওদিকে পুরাতন এলসি ৮৫২ ডলারে এ্যমেনম্যান্ট করা প্রায় ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় পাইপ লাইনে আটকা পড়ে আছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার সাথে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। এদিকে খুচরা বাজারে এর পড়েছে ব্যপক প্রভাব, গত কাল নি¤œমানের যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এদিকে সাধারন ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে।