নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বাজারগুলোয় হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। আর এই সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী সুর তুলেছেন আমদানি করার। তবে দেশেও এবার প্রচুর পেঁয়াজ লাগিয়েছেন কৃষকরা। পেঁয়াজ আবাদের জমি বেড়েছে যেখান থেকে বাম্পার ফলন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর তাই আপাতত আমদানি না হলেও দেশীয় পেঁয়াজেই চাহিদাও যেমন মিটবে তেমনি চাষীরা মূল্য পাবেন। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার যে লক্ষ্য নেয়া হয়েছে তা অনেকটাই এগিয়ে যাবে। দেশের চাষীদের স্বার্থে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেয়াও বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের চাষীদের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানিতে যে শুল্কারোপ করা হয়েছে তা যেন না উঠানো হয়। একই সঙ্গে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে একটি রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে সে পথে এগোচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি কয়েকটি আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সর্বস্তরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে, কোথাও ৪৫ বা ৫০ টাকা। সেই সঙ্গে ভারতীয় আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকার উপরে, কোথাও ৪০ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদফতর মনে করছে এই দামটি এখনও সঠিক যদি আরও বেশি মূল্য বৃদ্ধি পায় তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদফতর বাজার প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছে।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করার কথা বলছেন। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কৃষি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এই মুহূর্তে আমদানির দরকার নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে দেশে চলতি বছরে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের টার্গেট ঠিক করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ লাখ ৫৫ হাজার টন। সারাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের একটু বেশি। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের একটি অংশ সংরক্ষণকালে নষ্ট হয়। ফলে কয়েক লাখ টন আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের পেঁয়াজের আবাদ ভাল। আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছি। এ বছর আমাদের যে পরিমাণ জমিতে আবাদ করেছি তাতে প্রায় ত্রিশ লাখ টন উৎপাদন হবে যা খুবই ভাল। আমরা মনে করি এই মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানির আপাতত কোন প্রয়োজন নেই। দেশী পেঁয়াজেই বাজার ভরে উঠবে দ্রুত আবার চাষীরা দামও পাবে। আমাদের অধিদফতর যে আইপি দেয় আপাদত তা বন্ধ রয়েছে এবং আমরা মনে করি দেশের চাষীদের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। আমরা মনে করি আপাতত আমদানি না হলেও চলবে কেননা আমাদের নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে কয়েকদিনে আরও অনেক কমেও যাবে দাম।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। আর উৎপাদন হয়েছে ২৫ লাখ ৬০ হাজার টন। গত বছর পেঁয়াজের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধির পর থেকে সরকার একটি পরিকল্পনা নেন পেঁয়াজে চার বছরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার। সে ধারাবাহিকতায় এ বছর বৃদ্ধি করা হয় আবাদি জমি ও লক্ষ্যমাত্রা। গত বছর বেশি দাম থাকার কারণে কৃষকরাও আগ্রহ নিয়ে পেঁয়াজে ঝুঁকেছেন। এ বছর ৬৫ হাজার জমিতে কন্দ পেঁয়াজ হয়েছে যা মুড়িকাটা পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত। আর বীজ হালি পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে যা আগামী ১৫-২০ দিন পরই বাজারে আসতে শুরু করবে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে মুড়িকাটা (আগাম) পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করে। এ পেঁয়াজ অবশ্য সংরক্ষণ করা যায় না। মার্চে আসে বীজ থেকে উৎপাদিত পেঁয়াজ। এ বছর একটু ভাল দাম পেলে দেশের কৃষকেরাই প্রতি বছর উৎপাদন বাড়াতে পারবেন। তবে এখন যে পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আছে নতুন পেঁয়াজ আসা আগ পর্যন্ত এই পেঁয়াজেই চলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার এখন আমদানির অনুমতি দিলে আমদানির পেঁয়াজ এবং চাষীদের উঠানো পেঁয়াজে কৃষকরা লোকসান গুনবেন। এতে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন আমদানির অনুমতি না দেয়াই ভাল।
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথ ধরে এগোচ্ছি। এত দিন শুধু শীতকালীন পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের কয়েকটি জাত উদ্ভাবন করে চাষীদের দেয়া হয়েছে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে। কয়েক বছরের মধ্যে দেশ পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়।
এদিকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি দেয়া বন্ধ রেখেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং। উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ সামছুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, অনেকে লাভ হলে আইপি নেন অনেকে নেয়ার পরও আমদানি করেন না। একই উইংয়ের আমদানি শাখার উপপরিচালক এএস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১টি আইপিতে ৪ মাস সময় থাকে আমদানি করার। আর বর্তমানে আইপি দেয়া বন্ধ আছে। যা গত দুই মাসের বেশি সময় ধরেই বন্ধ। যেহেতু কৃষকের পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। যেকোন পণ্য যা কৃষক উৎপাদন করে এবং আমদানির পণ্যে সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, বাজার যেন না পরে যায় এজন্য খেয়াল রাখা হয়। আপাতত আইপি দেয়ার পরিকল্পনা নেই বলেও জানান।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামান্য (৫ শতাংশ) আমদানি শুল্কারোপও করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পেঁয়াজ আমদানিকারক মনজুর মোরশেদ বলছেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুমে ভারত সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়। সেই পেঁয়াজ দেশে আসার পর বাংলাদেশী কৃষকরা উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে পথে বসেন। দাম না পেয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে আগ্রহ হারান দেশি কৃষকরা। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ছিল। কিন্তু সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কৃষকদের সুরক্ষা দেয়া এবং পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানো নিশ্চিত করতে একটি সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এবার সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু শুল্কারোপ করেছে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবারই প্রথম ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক এবং ৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। এই শর্ত মেনে আমদানি করতে গিয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানিমূল্য বেশি পড়ছে। আর বাংলাদেশে উৎপাদিত পেঁঁয়াজের সঙ্গে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এই পদ্ধতি পাল্টে আগের নিয়মে কতিপয় আমদানিকারক পেঁয়াজ আনতে চাচ্ছে। অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে দাম বৃদ্ধিকে। তবে সরকার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এই দাম দ্রুতই কমে যাবে কেননা বাজারে পেঁয়াজ আসছে বিশ দিনের মধ্যেই।
ভারত গত সেপ্টেম্বরে নিজেদের বাজার সামাল দিতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। এদিকে দেশে উৎপাদন উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৩০ শতাংশ শুল্কারোপের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি গত ৪ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায়।
খাদ্যনীতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) ২০১৪ সালে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন, বাজার ও অর্থনীতি নিয়ে একটি গবেষণা করে। এতে বলা হয়, ভাল দাম পেলে চাষীরা পরের বছর বেশি আবাদ করেন। ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮-১০ শতাংশ। বারির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দেশে এখন পেঁয়াজের জনপ্রিয় জাত রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত আছে তিনটি। বাকিগুলো শীতকালীন জাত। দেশে পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই আসে শীতকালীন পেঁয়াজ থেকে। তবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদনও ধীরে ধীরে বাড়ছে। অবশ্য বাংলাদেশে এখনও পেঁয়াজের বৈশ্বিক গড় উৎপাদন হারের চেয়ে বেশ পেছনে আছে। বিশ্বে গড় উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ১৮ টন। বাংলাদেশে ফলছে গড়ে ১১ টন করে। ডিএইর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের ব্যয় ছিল প্রায় বিশ টাকা। আর চাষীরা সেই পেঁয়াজ ২৫-৩২ টাকায় বিক্রি করেন। বাজারে বেশির ভাগ সময় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়। যদিও গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ১০০ টাকা অতিক্রম করে যায়। কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের টিম প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছে, এখনও যা বিক্রি হচ্ছে এটা সহনশীল এর বাইরে গেলে আমরা দাম বেঁধে দেব। আমাদের মনে হচ্ছে দ্রুতই যেহেতু বাজারে পেঁয়াজ আসবে তাই আপাতত আমদানির দরকার নেই। কেননা আমদানি করতে গেলেও সেই পেঁয়াজ আসতে আসতে আরও ১৫-২০ দিন আবার একই সময়ে কৃষকদের পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে দেখা যাবে আমাদের কৃষকরা দাম পাবে না বরং আগামীতে পেঁয়াজ চাষাবাদে আগ্রহ হারাবে। বিপণন অধিদফতরের এক তথ্যে জানা গেছে জুলাই ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ মোট ৭ মাসে ৩ লাখ ৫৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ফলে বাজারে যারা বলছে সঙ্কট আসলে তেমন সঙ্কট নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চার বছরের রোডম্যাপ হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। রোডম্যাপে গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায় খুঁজতে গবেষণার কথা বলা হয়েছে। রোডম্যাপে বলা হয়েছে, প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানে পেঁয়াজ চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে উন্নতজাতের শীতকালীন বারি পেঁয়াজ-১, বারি পেঁয়াজ-৪, বারি পেঁয়াজ-৬ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন জাত হিসেবে বারি পেঁয়াজ-৩ ও বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করা হয়েছে। অধিক সংরক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উচ্চফলনশীল লাইন সিএমও-৩৭৪ এবং সিএমও-৩৭৫ আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষণে রয়েছে, যা থেকে নতুন ভাল জাত উদ্ভাবন হতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয়। আর বাকিগুলো হয় আমদানি যাতে ব্যয় হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। পেঁয়াজ উৎপাদনে রোডম্যাপ সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে চার বছর মেয়াদী একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। এ বছর থেকেই কার্যক্রম চলছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আবাদ এলাকা বৃদ্ধিতে কাজ করছি সেখানে চারার একটি বিষয় আছে। আমরা সেটি নিয়েও কাজ করছি। এছাড়া দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেটি কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়টি নিয়েও গবেষণা করা হচ্ছে।