নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের। আর বন্দরের পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। গেলো সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে ভারতীয় সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ার কারনেই পেঁয়াজের দাম বাড়ার কথা জানালেন আমদানিকারকরা। আমদানিকারকেরা বলছেন সে দেশে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নাসিক, গুজরাট, অন্ধপ্রদেশ, ইন্দ্র, হাসখালি, বেলডাঙ্গা ও খড়কপুর এলাকায় পেঁয়াজের আবাদ কিছুটা নষ্ট হয়েছে। কিন্তু কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমদানি কমের অজুহাত দেখিয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে রফতানিকারকেরা বলে দাবি করছেন স্থানীয় ব্যসায়ীরা।
হিলি কাষ্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে ৩ কর্ম দিবসে ভারতীয় ৮৫ ট্রাকে প্রায় ২ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
হিলির ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, পেঁয়াজের পাইকারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ওপারের রফতানিকারক দাদারা, তারা যখন যে রেট বেধে দিবেন এপারের আমদানিকারকরা সেই রেটেই পেঁয়াজ বিক্রি করে থাকেন। সামনে ঈদ তাই ওপারের দাদারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে মুনাফা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকার পেঁয়াজের উপর ট্যাক্স ৫% কর বসিয়েছে।
স্থনীয় কাচামাল ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান জানান, বর্তমানে হিলি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। কাস্টমস এ্যাসেসমেন্ট করছে ৩০০ ডলারে। আর প্রতি কেজিতে ডিউডি দিতে হচ্ছে ১.৩০ টাকা। আসছে ঈদে দেশে প্রচুর পরিমানের পেঁয়াজ প্রয়োজন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিবছর পেঁয়াজের বাজার দর ও ডলার রেট বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। এই দাম বাড়ার সাথে রয়েছে সিন্ডিকেট চক্রটি।