নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব বিভাগে কর্মচারী হাসপাতাল করারও উদ্যোগ নেবে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২০২৩’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে হাসপাতালের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের বিবরণে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তর এবং মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় ও প্রত্যেক বিভাগে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থাসহ হাসপাতালে বিদ্যমান বিভাগের পাশাপাশি এইচডিইউ, এনআইসিইউ, সিসিইউ, পোস্ট সিসিইউ, ক্যাথল্যাব, ডায়ালাইসিস ইউনিট, অনকোলজি, হেপাটোলজি, নিউরোলজি, মানসিক রোগ, রেসপিরেটরি মেডিসিন, এন্ড্রোক্রাইনোলজি, নবজাতক, অ্যাডলোসেন্ট (মহিলা ও শিশু) বিভাগসহ শিশু বিকাশ কেন্দ্র খোলা হবে।
এছাড়াও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইমার্জেন্সি বিভাগে আসা সব সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আন্তঃবিভাগে শয্যা ব্যবহারের হার শতকরা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে দুই লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষা সম্পন্নকরণ, ৯ হাজার ইসিজি, ৯০০ ইকো, ২৪ হাজার এক্সরে, ৯ হাজার আলট্রাসনোগ্রাম, দুই হাজার ২০০ জনকে ইপিআই সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়াও এক হাজার ৫০০ জনকে পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হবে।
একই সঙ্গে এক হাজার ৮০০ অপারেশন বা সার্জারি, বিদ্যমান চারতলা ভবনটির ১৬তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শতভাগ সম্পন্ন, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জনবল নিয়োগে নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হবে। এছাড়াও যানবাহন ও অফিস সরঞ্জমাদি হাসপাতালের টিওএন্ডইতে (যন্ত্রপাতি ও যানবাহন) অন্তর্ভুক্তকরণের কথা বলা হয়েছে।