আবু জাফর সিদ্দিকী
কোথাও সংঘর্ষ-মারামারি, বেদখল, দূর্ঘটনা, যাই ঘটুক ঘটনাস্থলে কে আগে আসে? উত্তরে আসবে পুলিশ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে যান পুলিশ। এমন ভূমিকায় যারা থাকে তারা কি কখনো জনগনের শত্রæ হতে পারে? কখনই না তাহলে অবশ্যই তারা জনগনের বন্ধু। আমরা যখন রাতে শান্তিতে ঘুমাই তখন তাদের ঘুম বিসর্জন দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। এলাকার যুবসমাজ যখন নেশায় আসক্ত হয় তখন পুলিশি ব্যবস্থাপনায় তাদের নেশা ছাড়ানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। যখন কোন সংঘর্ষ বাঁধে তখন পুলিশ এসে সে সংঘর্ষ রোধ করে। এতকিছুর পরেও তারা কি আমাদের বন্ধু হতে পারেনা? বর্তমানে মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকর জনগনকে রক্ষা করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পুলিশ বাহিনীর। নিজেদের কথা, পরিবার-পরিজনের কথা না ভেবে জনগনকে রক্ষার্থে কাজ করা এক গোষ্ঠীর নাম পুলিশ বাহিনী। কিন্তু আমরা সচেতন না হয়ে তাদের সাথে লুকোচুরি খেলছি! চোর-পুলিশ খেলছি। পুলিশ আসলে দোকান বন্ধ করছি, ভেতরে চলে যাচ্ছি আর পুলিশ চলে গেলে আবার দোকান খুলছি, রাস্তায় বের হচ্ছি। এতে করে কি আমরা পুলিশকে ঠোকাচ্ছি নাকি নিজেদেরই ঠোকাচ্ছি? দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পুলিশে। তারপরেও তারা জনগনের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রাস্তায় বের হলে পুলিশ কিছু বললে আমরা তাদের কতরকম ভাষায় গালি দেই। বর্তমানে পুলিশের ভূমিকার জন্য এ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করা উচিত বাংলার জনগনের।
২৪ ঘন্টায় ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা ডিউটি করে যে বাহিনী সেটাই আমাদের পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আমাদের গর্ব। পরিবার-পরিজন রেখে শুধু দায়িত্ববোধ থেকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চাকুরি করে এ বাহিনী। তাদের ত্যাগ, তাদের বিসর্জন আজীবন মনে রাখার। এ মহামারিতে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভূমিকা আজীবন মনে রাখবে বাঙ্গালী জাতি। তাদের ত্যাগ ভূলে যাওয়ার মত না। তাদের জন্য বাঙ্গালী জাতি গর্বিত।
করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে স্বজনরা এগিয়ে না আসলেও পুলিশ আসবে এ আস্থা অর্জন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আক্রান্তদের সেবা, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, খাবার পৌঁছে দেয়া, লাশ দাফন করা সবই করছে পুলিশ। তাদের এ কাজের জন্য দেশের সমস্ত পুলিশ অফিসার-সদস্যদের জানাই স্যালুট।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা দূর হোক, পুলিশ দীর্ঘজীবী হোক।
আবু জাফর সিদ্দিকী
গণমাধ্যম কর্মী, নাটোর
০১৭৬৪৯৯৩০৯৬