নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া (রাজশাহী):
রাজশাহীর পুঠিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এসআইকে হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া করার পর তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছেন পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুল হক মিলন জানান, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে পুঠিয়ার ফুলবাড়ি বাজারে চা স্টলের মালিক শহীদুলের সাথে পাশের দোকান এর মালিক মিজানুরের সাথে চা স্টলের চুলার ধোঁয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শহীদুলের লোকজন মিজানুর ও তার ছেলে শাহীন এবং ভাতিজা সাব্বিরকে মিজানুরকে বেপরোয়া মারধর করে। এ ঘটনার সময় মিজানুরের বড় ভাই শহিদুল সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করে। পরে মিজানুর ও শহিদুলকে মারধর করলে সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে যায়। পরে শহিদুল ও তার ছেলে শাহিন এবং তার ভাতিজা সাব্বিরকে তারাও বেপরোয়া মারধর করে। এতে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে থানার এসআই স্বপন জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিকাল ৪ টার দিকে প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। এসময় মামুন ও শফিকুল এসআই স্বপনকে গালিগালাজ করতে থাকেন হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে এসআই স্বপনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন মামুন এবং ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তার ওপর থেকে মাঠের মধ্যে নিয়ে চলে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এসআই স্বপন বিষয়টি থানার উর্ধতন অফিসারকে জানালে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছলে মামুন ধারালো হাসুয়া নিয়ে এএসআই চন্দনকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে জীবন বাঁচান। পরে মামুন ও তার ভাই শফিকুল আবারও এসআই স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, মামুন বাসুদেবপুর-নলডাঙ্গা সরকারী ট্রেনিং সেন্টারের চাকুরী করেন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) ইমরান জাকারিয়া দ্রুত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশিও অস্ত্র হাসুয়াসহ মামুন, শফিকুল, সবুজ, ইমরান ও খাইরুল নামের পাঁচজনকে আটক করেন। এসময় পুলিশের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর মামলার প্রস্তুতি চলছে, যারা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।