নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে। নির্বাচন অফিস বলছেন নতুন করে আইনি কোনো জটিলতা না থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসে এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের এখনো কয়েক মাস বাকি। তফসিল ঘোষণা না হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে পুঠিয়া পৌরসভার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের একাধিক সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ইতোমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন।
আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন প্রায় এক ডজন। এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র, উপজেলা আ’লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও অধ্যক্ষ, পৌর আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ী সহ দলের বিভিন্ন পদের নেতারা। ইতিমধ্যে ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আবার অনেকেই তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সমর্থন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ করে কারোনা মহামারির মধ্যে কর্মহীন, হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ভোটারদের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন অনেক প্রার্থী।
জানা গেছে, পুঠিয়া পৌরসভা গঠনের ১৪ বছর পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম বারের মত এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নানা প্রতিকুলতায় নাগরিকদের চাওয়া না পাওয়ার মধ্যে কেটে যাচ্ছে ৫ বছর। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এই পৌরসভার নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে যেকোনো সময় সারা দেশের সাথে এখানেও সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবেন নির্বাচন কমিশন। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিস পৌরসভা এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ১৫ হাজারের বেশী ভোটাদের নাম তালিকার কাজ প্রায় শেষ করেছেন।
উপজেলা আ’লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই পৌরসভাকে উপজেলার মধ্যে সকল নির্বাচনের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এখানে মেয়র পদের জন্য একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রত্যাশা করছেন। তবে এবার দলীয় প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে জনকল্যানমূলক কাজ করেন ও দলের ত্যাগী ব্যক্তিকেই মনোনয়নের জন্য সুপারিশ দেয়া বিষয়ে সিনিয়র নেতারা একমত প্রকাশ করছেন।
অপরদিকে, মেয়র পদের জন্য বিএনপিতে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তারা মৌখিক ভাবে নির্বাচনের অংশ নেয়ার মত প্রকাশ করলেও দলীয় সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে নামবেন না বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া অন্য দু’দলের মধ্যে চারজন প্রার্থীর নাম গুঞ্জন চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ৫ বছর পূণ হচ্ছে। এখানে নির্বাচনের জন্য এখনো কোনো চিঠি আমরা পাইনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন করা যাবে এমন পৌরসভাগুলোর নাম ও লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। সময় ঘনিয়ে এলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো পৌরসভায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা আছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হবে। তবে সেটা আগামী অক্টোবরের দিকে।