নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া
‘সত্যম শিবম সুন্দরম” জয় বাবা ভোলানাথ” জয় বাবা পুঠিয়া নাথ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগামীকাল রোজ সোমবার ৫ আগস্ট রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলার ঐতিহাসিক ও এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নগ্ন পদযাত্রা ও গংঙ্গাজল অর্পণ (ব্যোম ব্যোম) অনুষ্ঠিত হবে।
পুঠিয়া উপজেলা হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার সেন গুপ্ত বলেন, উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিবমন্দিরে সোমবার ভোর থেকে নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গঙ্গাজল অর্পণ শুরু করা হবে। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার নর-নারীরা সংসারের ত্রিতাপ জ্বালা হতে মুক্তির নিমিত্তে ও অশেষ মহাপূণ্যের আশায় হাজির হবেন শিবমন্দিরে। ধর্মীয় ভক্তরা গেওয়া ধুতি ও গেঞ্জি পরিধাণরত একটি বাঁকা ভার দু’টি বড় ছিকা সম্মলিত দু’ঘটি গঙ্গাজল সাজিয়ে ক্ষেপা বাবা ব্যোম, ব্যোম, ধ্বনিতে মন্দিরের চার পাশে সাতপাক ঘুরে পবিত্র শিবের মাথায় গঙ্গাজল অর্পণ করবেন।
এদিকে বহিরাগত ভক্তরা রোববার সকাল থেকে আসা শুরু করেছেন। তারা আজ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অবস্থিত আড়ানী বাজারে অবস্থিত ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমে সারা রাত্রী নাম-কীর্তন করবেন। সোমবার ভোরে নদীতে স্নান শেষে সেখান থেকে ঘট ভর্তি গঙ্গা জল নিয়ে নগ্নপদে পুঠিযায় শিব মন্দিরে এসে গঙ্গাজল অর্পন করবেন। অনুষ্ঠানকে ঘিরে মন্দির প্রাঙ্গণ ও আশে পাশের এলাকা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছেন পুলিশ প্রশাসন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হিন্দু ধর্মীও নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গঙ্গাজল অর্পণ অনুষ্ঠান সফলভাবে করার লক্ষ্যে শিবমন্দির এবং আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২৩০ বঙ্গঃ ১২৩৭ বঙ্গঃ উপমহাদেশের দৃষ্টি নন্দন সস্বলিত ঐতিহাসিক ও এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারানী ভুবন মোহন দেবী। আর ১৯৮৯ ইং সালে থেকে আড়ানীর পাগলা বাবা কর্তৃক এখানে প্রথম ব্যোম ব্যোম সূচনা করেন। এখানে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার নগ্ন পদযাত্রা (ব্যোম, ব্যোম) অনুষ্ঠিত হয়।