নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় টিএসপি সারের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ কৃষকগন। এলাকায় বর্তমানে মাঠে সবজি, ভুট্টা, আলুসহ বিভিন্ন ফসল লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এ সময়ে চাষীরা পর্যাপ্ত টিএসপি সার পাচ্ছেন না। বরাদ্দ কম পাওয়া গেছে জানিয়ে সবজী মৌসুমে সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে।
চাষীরা জানালেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আগাম সবজী চাষ শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যে এখন শুরু হয়েছে টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলাসহ শীতকালীন সবজী চাষাবাদ। তাদের প্রত্যেকেরই পাঁচ থেকে দশ বস্তা টিএসপি সারের প্রয়োজন হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সার ব্যবহার করেন সকল কৃষকই। মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে সার পেতে সমস্যা না হলেও, ভরা মৌসুমে ডিলাররা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ডিলারদের দাবি, সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়ানো হয়নি, টিএসপি সার চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ পাওয়ায় কৃষকদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। বেশি দামে কিনছি তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। অন্য জায়গা থেকে এনে দিলে দাম তো বেশি পড়বেই। কিন্তু নির্দিষ্ট দামে কৃষকরা সার কিনতে চাইলে বলা হচ্ছে সারের সংকট রয়েছে।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছে ৮ জন ও বিএডিসি’র ডিলার আছে ১৩ জন। তাছাড়াও সাব সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা রয়েছে। ডিলারদের কাছে যথেষ্ট সার মজুতও রয়েছে। এ মাসে সকল ডিলার নির্দিষ্ট সময়ে সার উত্তোলন করেছেন। সিন্ডিকেট করে কোন ডিলার সারের দাম বেশি নিলে যে কোনো ক্রেতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে, জামানত বাজেয়াপ্তসহ ডিলারশিপ বাতিল হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, বেশি দামে সার বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। যেসব ডিলার সারের দাম বেশি নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।