নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়াঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় অতিরিক্ত সার মজুদ রাখার দায়ে এক সার বিক্রেতাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় নকল সার মজুদ রাখার সন্দেহে মজুদ রাখা সারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে থাকা ৭ টি পদের ৭৯৮ বস্তা সারসহ গোডাউন সিলগালা করারও নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
গককাল (১১ মে) সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের নওপাড়া বাজারের সার ব্যবসায়ী আবদুস সামাদের দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওলিউজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
গোডাউনে জব্দ সারের মধ্যে রয়েছে, টিএসপি ৩৪ বস্তা, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৭৮ বস্তা, টিএসপি লেবানন ৬০ বস্তা, টিএসপি তিউনেশিয়া ১৪০ বস্তা, ইউরিয়া ১৬২ বস্তা, ডিএপি ৩৪ বস্তা ও এমওপি বেলারুশিয়া ২৯০ বস্তা। এই সবগুলো সারেরই নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, অর্থদন্ড প্রাপ্ত আবদুস সামাদ সাব ডিলার হয়েও নির্দেশ অমান্য করে গোডাউনে অতিরিক্ত সার মজুদ রেখেছিলেন। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। অতিরিক্ত সার মজুদ রাখার বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে স্বীকার করায় তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় মনোনিত ডিলার ব্যতিত অসৎ উপায়ে সারগুলো সংগ্রহ করে গোডাউনে মজুদ রাখায় সারের গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ফলে প্রতিটি সারের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং গোডাউনে থাকা ৭ টি পদের মোট ৭৯৮ বস্তা সারসহ গোডাউনটি সিলগালা করা হয়েছে।
এব্যপারে ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ অতিরিক্ত সার মজুদ রাখার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি সারগুলো প্বার্শবর্তি নাটোর জেলার কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয়ের মনোনিত ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করে এনেছেন। সারের গুনগত মান সবকিছুই ঠিক আছে দাবী করে তিনি বলেন, দোকান বন্ধ থাকায় অনেক কৃষক এসে সার না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন এতে কৃষকরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট এলে সার ও বীজ কমিটির সভা করে এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রিপোর্ট আসতে ১০ /১২ দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।