নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়াঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বদলীর আদেশ ছাড়াই সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ের দুই জন শিক্ষক তাদের ইচ্ছা মত অন্যস্কুলে গিয়ে কর্মরত আছে। অথচ গন্ডগোহালী সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ের সেই শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় কোমলমতি ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানায় অভিভাবকরা। এতে অভিভাবকদের মাঝে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষিকার দ্বন্দ্বের জের ধরে শামসুনাহার গত ৩০শে সেপ্টেম্বর একই উপজেলার কাঁঠালবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে যোগদান পূর্বক ক্লাস পরিচালনা করে আসছে। অপরদিকে কাঁঠালবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা খাতুন ধোকড়াকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে যোগদান পূর্বক ক্লাস নেন। কিন্তু গত ১ মাস যাবৎ গন্ডগোহালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানায় অভিভাবকরা।
এতে বর্তমানে ধোকড়াঁকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষিকা হাসিনা খাতুন জানান, আমি কাঁঠালবাড়িয়া স্কুলের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশক্রমে ধোকড়াকুল স্কুলে যোগদান করে কর্মরত আছি। কিন্তু আমি এখন পর্যনÍ সরকারী অফিস আদেশ মোতাবেক বদলির নির্দেশ পাইনি।
কাঁঠালবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলা পরিষদের সভার রেজুলেশনের কপি জমাদান পূর্বক সেই শিক্ষিকা আমাদের স্কুলে কর্মরত আছে। অপর একজন হাসিনা খাতুন ধোকড়াকুল স্কুলে যোগদান করেছেন।
ধোকড়াকুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ আলী জানান, উপজেলা পরিষদের সভার রেজুলেশনের ফটোকপি এবং টিও অফিস থেকে দেওয়া মৌখিক নির্দেশ মোতাবেক সহকারী শিক্ষক হাসিনা খাতুন এসে যোগদান করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর মামুনুর রশিদ জানান, এই শিক্ষিকাদের বদলীর বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।