নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া (রাজশাহী)
রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার ধোপাপাড়ায় ফিড মিলে নিষিদ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে মৎস্য খাবার (ফিড) তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মিলের ভিতরে বয়লার তৈরি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও তারা মিলের ভিতরে গোপনে বয়লার ব্যবহার করছে। যা শ্রমিকের প্রাণ নাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া বাজারের দক্ষিণে ইনাম ফিড মিল রয়েছে। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে অবৈধ্য উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করছে চমক ফিস ফিড। সেই ফিড তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে। বস্তার গায়ে ব্যবহৃত উপকরণ হচ্ছে- ফিসমিল, ভূট্টা, রাইস পালিশ, সয়াবিন মিল, সরিষার খৈল, এ্যানিমেল প্রোটিন, ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স, এ্যামাইনো এসিড, লবণ, টক্সিন বাইন্ডার, এন্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি। একটি বস্তায় ২৫ কেজি ফিড রয়েছে যার মূল্যে- ৮৮০ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, মৎস্য ফিড তৈরিতে নিষিদ্ধ মিডবন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পচাঁ মসুর, লুডুস, বিস্কুটের গুড়া, মধু ইত্যাদি ব্যবহার করছে। আর এই সব উপকরণ মিল কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন। ফিড তৈরির সময় গোপন স্থান থেকে নিয়ে তা ব্যবহার করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে মিলে গিয়ে তথ্য ও ছবি সংগ্রহের পর বিকেলেই মিল কর্তৃপক্ষ সেই নিষিদ্ধ উপকরণ মিডবন সহ অন্যানো উপকরণ মিল থেকে সরিয়ে ফেলেন। ইনাম ফিড মিলের লেবার সরদার আসমত আলী জানান, আপনারা যে সময় এসেছিলেন তখন আমি মিলে ছিলামনা। তবে মালিক পক্ষ যা বলে আমরা তাই করি। ম্যানেজার নাজমুল হোসেন এর উপস্থিতিতে মিটবন, মিলের ভিতরে বয়লার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে আমার কিছু জানা নাই। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ সকল অনুমোদোন আছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মালিক জানে আমার জানা নাই।
ইনাম ফিড মিলের মালিক মোঃ আতিকুর রহমান জানান, আমরা নিয়ম মাফিক কাজ করি। আমাদের এখানে অবৈধ কিছু হয়না। আর আমি মিলে নাই, আপনি কার অর্ডার নিয়ে মিলে গিয়েছেন আর ছবি তুলেছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ওমর আলী জানান, আমাদের উপজেলায় ২টি ফিড মিল আছে। এগুলোর আমরা খোঁজ খবর রাখি। অভিযোগের ব্যাপারে আমার জানা নাই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।