নিজস্ব প্রতিবেদক,পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এক নারীর থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৩ টায় পুঠিয়া পৌরসভায় মেয়রের নিজ কক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আল মামুন খান।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র অভিযোগ করে বলেন, শাহানা খাতুন পিংকি নামের এক নারী ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পুঠিয়া পৌরসভায় নাগরিকত্ব সনদ নিতে আসেন এবং সাড়ে ১১টার দিকে চলে যান। এসময় তিনি এবং সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলম পৌরসভায় উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় অফিস সহকারী আতিকুর রহমান ওই নারীকে সহযোগিতা করে। ওই নারী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কক্ষের ছবিও তুলেন।
ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে ওই নারীর বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করি। পরেরদিন শুক্রবার জানতে পারি ওই নারী আমি, সহকারী প্রকৌশলী ও আরেকজন কর্মকর্তা রিপন আলীর নামে তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে মর্মে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অথচ ওই নারী যখন পৌরসভায় আসে তখন তিনি এবং সহকারী প্রকৌশলী অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
মেয়র অভিযোগের সুরে বলেন, আমি বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়র। আর এই মেয়র হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করে আসছে এই এলাকার একটি কুচক্রী মহল। মেয়র তার বক্তব্যে আরো বলেন, এই নারী একটি কুচক্রী মহলের নির্দেশে বা আমার প্রতিপক্ষের প্ররোচণায় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, এর আগে সে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করেছে যা আদালতে বিচারধীন রয়েছে।
সাহানা পিংকির সাথে আসা তার প্রতিবেশী জেমি খাতুন নামের এক মহিলা সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাহানা খাতুনের অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ওইদিন তার সাথে পৌসভায় কারও কোন রকম বাকবিতন্ডা বা ঝামেলা হয়নি। শেষে উপস্থিত সাংবদিকদের পুঠিয়া পৌরসভার সিটিটিভি ফুটেজ দেখান পৌর মেয়র। তাতে দেখা যায় সাহানা খাতুন নামের ওই নারী তার কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবে পৌরভবন থেকে বেরিয়ে গেছে। এসময় মেয়র তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুঠিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, ইসমাইল হোসেন, শাহজালাল, মনিরুল ইসলাম, জেবের মোল্লা, মানিক মন্ডল, রবেদা বেগম, আইরিন পারভীন, রজুফা বেগম, সহাকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলমসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।