সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / পুঠিয়ায় সালিশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১

পুঠিয়ায় সালিশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে মতবিরোধ চলছিল। ওই বিরোধ নিরসনে সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে রেজাউল করিম (৩৫) নামের এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন।

এ ঘটনার পর ওই এলাকা জুড়ে দুই গ্রামের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক আটজনকে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।

নিহত ভ্যান চালক রেজাউল করিম (৪৮) চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের গ্রাম শিবপুর এলাকার হালিম উদ্দীনের ছেলে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে পুঠিয়া-চারঘাট সীমান্তের বটতলা শিশুতলা বাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান গাজি সুলতান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুঠিয়ার দিঘলকান্দি ও চারঘাটের গ্রাম শিবপুরের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। মাঝে মধ্যে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারি ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। এ সকল বিষয়টি নিরসন করতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সালিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আবুল কালাম সাহিদ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত খালিদুর রহমান, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে চারঘাট উপজেলার গ্রাম শিবপুর এলাকার ছালাম-কালাম বাহিনীর সাথে পুঠিয়া-বানেশ্বর দিঘলকান্দি গ্রামের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছে। পুঠিয়ার দিঘলকান্দি গ্রামের লোকজন চারঘাটের শিবপুর গ্রামে গেলে তারা অহেতুক নানা অজুহাতে মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিত। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছালাম-কালাম বাহিনীর হাতে দিঘলকান্দি গ্রামের লোকজন একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়। বিষয়টি রাজনৈতিক নেতা ও থানা পুলিশকে অবহিত করেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার বিকেলে সালিশ বৈঠক বসেন। আর এই বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই মুহূর্তে চারঘাট থানা পুলিশ আমাদের সহায়তা করছে।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সালিশ চলা কালিন সময়ে ওই স্থান থেকে একটু দুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর সালিশ স্থগিত রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলসহ আশেপাশে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বশেষ এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে বলে জানান তিনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …