নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজে অতি নিন্মমানের ইট ও বালুর পরিবর্তে আবর্জনা ঘাসযুক্ত মাটি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তায় নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ জানায়। পরে ঠিকাদারের লোকজন চাঁদাবাজির মামলার হুমকি দিলে এলাকাবাসী সেখান থেকে সরে আসেন।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহাসড়ক সংলগ্ন ঝলমলিয়া ডাক বাংলো থেকে হাতেমের মোড় বটতলা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ ও কার্পেটিং এর কাজ চলতি অর্থ বছরে শুরু হয়। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকা। আর কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহিবুল ইসলাম ট্রেডার্স।
পূর্ব কাঠালবাড়িয়া গ্রামের রতন আলী ও সাইদুর রহমান অভিযোগ তুলে বলেন, ঠিকাদার এই রাস্তার কাজে ইট-বালু খুবই নিন্মমানের ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে গত রবি ও সোমবার গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ করেন। সে সময় ঠিকাদারের লোকজন গ্রামবাসির উপর ক্ষীপ্ত হয়। এক পর্যায়ে প্রতিবাদকারীদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের হুমকি দিলে সম্মানহানির আশঙ্কায় প্রতিবাদকারীরা সরে আসেন। তারা বলেন, বিষয়টি আমরা প্রকৌশল অফিসে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ওই সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঠিকাদারের লোকজন সড়ক সম্প্রসারণ কাজে ৩নং ইটের ব্যবহার করছেন। সেই সাথে সড়কে ভরাট ও বালির পরিবর্তে ঘাস ও আবর্জনাযুক্ত মাটি ব্যবহার করছেন।
সড়কে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, ঠিকাদার যে ইট বালি দিচ্ছেন আমরা সেটা দিয়েই কাজ করছি। নির্মাণ সামগ্রী নিন্মমানের কিনা জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারগণ কিছু বলেন না, আর আমরাতো লেবার।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বরত ম্যানেজার লিটন আলী বলেন, আমরা কাজে কোনো অনিয়ম করছি না। যারা অভিযোগ করছেন তারা মিথ্যা বলেছেন। আর এটা সরকারি কাজ। এখানে নিন্মমানের ইট বালু ব্যবহার করা যায় না।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, সড়ক নির্মানে কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। আর এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও নেই।
আর আমরা সব সময় কাজের দেখভাল করছি। রাস্তায় নিন্মমানের ইট ও বালুর পরিবর্তে ঘাসযুক্ত মাটি ব্যবহারে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন স্থানে ব্যবহার হয়েছে তা দেখিয়ে দেন, আমরা সেগুলো সরিয়ে দিব।