নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়ায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত হচ্ছে। প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় পুঠিয়ার পি এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পরে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, কে, এম, নুর হোসেন নির্ঝর, পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান শান্তির প্রতীক পায়রা ও রং-বেরংয়ের বেলুন উড়িয়ে দিবসটির সূচনা করেন।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল, ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) মৌসুমি রহমান, শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ, পবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোফাক্কারুর ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেরুল ইসলাম, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শাহীনুর রহমানসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এর আগে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় পুঠিয়ার পি এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ, ছাত্র-ছাত্রী, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) ও পুঠিয়া থানার ওসি।
পরে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ৬টায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ সামাজিক সংগঠন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি নামফলক সংবলিত স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মঙ্গলবার বাদ যোহর দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা কওে কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ উপসানালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনটি যথাযথভাবে পালন করা হয়।