নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়াঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা প্রশাসকের আদেশ অমান্য করে ফসলী জমিতে স্কেবেটর মেশিন দিয়ে দিন-রাত্রী সমানে পুকুর খনন করছে দালালরা। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক সাহেবের পক্ষ থেকে অত্র জেলায় কোন পুকুর খনন করা যাবেনা মর্মে নির্দেশ দেন। অথচ পুঠিয়ার কয়েকটি স্থানে দিন রাত পুকুর খনন চলছে।
এলাকাবাসী জানায়, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের গোটিয়া বিলে আজ রবিবার সকাল থেকে দুটি স্থানে পুকুর খনন করছে দালালরা। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাইনি। ইতিমধ্যে ফসলী জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
এছাড়া এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। গত ৪ মে ভালুকগাছীর গোটিয়া বিলের জমির মালিক ও এলকাবাসী ৩ ঘন্টা মানববন্ধন করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর খনন বন্ধে ববস্থা নেওয়ার বিষয়ে আসস্ত করেন। গত এপ্রিল মাসে ১১ তারিখে রাজশাহীর রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর নাজমুল নাহার স্বাক্ষরিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি পত্র প্রেরণ করেন। ফসলী জমিতে পুকুর খনন এর প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিল গোটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সভার লিখিত রেজুলেশন সূত্রে জানা গেছে, উক্ত বিলে ৫ টি নলকুপের ফসলী জমিতে ৩ টি ফসল হয়। সেই জমিতে ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পার্শ্বে দুর্গাপুর থানার হোজা গ্রামের লতিফ এবং আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের সহ কয়েকজন অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে চলেছেন। সেই সভার রেজুলেশনে প্রায় ৩৬৩ জন এলাকার মানুষ স্বাক্ষর করেন। সেই রেজুলেশনের ফটোকপি সহ জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, পুকুর খননের শুরুতেই এলাকার লোকজন একসাথে সবই প্রতিবাদ করেছিলো। পরবর্তী সময়ে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েক জন গোপন চুক্তির মাধ্যমে তাদের দলে চলে যায়। এরপর থেকে যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকেই বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করছে বলে জানায়।
অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, আমাদেরকে কেউ জানাই নাই। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজ জানান, আমি ইতি পূর্বে ৪ বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। আর একবার মানববন্ধনের দিনে গিয়ে এলাকাবাসীকে আসস্থ করেছি। বিষয়টি শুনার পর আমি নায়েব সাহেবকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, বিষয়টা শুনেছি। গোটিয়ার বিলে যারা পুকুর খনন করছে তাদের কোন বৈধতা নেই। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।