নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আধাঁরে সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদেও শোডাউনে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে শোডাউনে অংশ নেয়া ৭ জন আহত হয়েছে। সেই সাথে মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ঝলমলিয়া বাজার এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া ডাকবাংলা এলাকায় ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
সাঈদ হোসেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদের লোকজন মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস ও শতাধিক হোন্ডা নিয়ে বেলপুকুর এলাকা থেকে ঝলমলিয়া এলাকায় আসে। এ সময় ব্রিজের উপর আসামাত্র আগে থেকে অবস্থান করা একদল দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউন বহরে হামলা চালায়। এতে শোডাউনে অংশ নেয়া ৭ জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে হিমেল নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, হামলাকারিরা একটি মিনি ট্রাক, একটি মাইক্রোবাস ও ৫-৬টি হোন্ডা ভাচুর করে। এ সময় পুরো ঝলমলিয়া হাট ও বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সাবেক জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান-উল-হক মাসুদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর শোডাউনের কয়েকটি গাড়ি পিছনে পড়ে যায়। আর ওই গাড়ি গুলো ঝলমলিয়া এলাকায় আসামাত্র একদল সন্ত্রাসীর হামলা চালায়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত সময় গেছে। এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। এখন সে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, শুনেছি শোডাউনের দুইজন আহত হয়েছে। তবে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য গত ৯ জুলাই ঝলমলিয়া হাট ইজারদার ও সাবেক সেনাসদস্য নাজমুল ইসলাম সুমনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন আহত সুমনের বাবা বাদী হয়ে থানায় ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদকে। সম্প্রতি ওই মামলা থেকে আহসানুল হক মাসুদ সাময়িক জামিন পায়। আর সোমবার রাতে তিনি নিজ দলের নেতা-কর্মীদেও সাথে নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে এলাকায় আসেন।