নিজস্ব প্রতিবেদক পুঠিয়া,,,,,,,,,,,,রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছেন। বর্তমানে মার্কেটের কারণে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ নভেম্বর পুঠিয়া রাজবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গণে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমান উপজেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এক মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে জনসম্মূখে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে নব-নির্মিত মডেল মসজিদের সামনে থাকা অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করতে আদেশ দেন। একই সাথে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অগ্রগতি তার দপ্তরে প্রেরণের
নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে মসজিদ নির্মাণ করার পরও অদ্যবধি মার্কেটের এই অবৈধ ঘরগুলি ভাংঙা হয়নি।
মসজিদের সামনে ফুটপাত দখল করে অনেকে আবার রমরমা ব্যবসা করছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে যানবহন চলাচল করতে গেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রায় সময়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে মসজিদের সামনে সড়ক পাড়া-পাড়ের সময় সড়কে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি।
সানোয়ার হোসেন সানু বলেন, আমার উপজেলা পরিষদের মার্কেটে একটি ঘর বরাদ্দ ছিল। মসজিদের সামনে মুসল্লিদের যাতায়তে অসুবিধার স্বার্থে আমিসহ দুইজনের ঘর উপজেলা পরিষদ তখন ভেঙে দেয়। কিন্তু অন্য ঘরগুলি এখনো পর্যন্ত ভাংঙা হয়নি।
উপজেলা সদরের রিপন আহম্মেদ বলেন, জনপ্রশাসন সচিব মহোদয়ের আদেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্কেটের ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে মোটাঅংকের অনৈতিক সমঝোতা হওয়ায় মাকের্টের ঘরগুলি সে ভাঙছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের এক ব্যক্তি বলেন, টাকার বিনিময়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নয়ছয় বুঝিয়ে উপজেলার প্রশাসন এই ঘরগুলি আর ভাংঙাচুড়া করবে না।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমি ঘর মালিকদের এক মাস সময় দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেছি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সিক্সলেন কাজ শুরু হলে, আমাদের উপজেলা পরিষদের জায়গায় সীমানা প্রচীর দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় থাকা উপজেলা পরিষদের মার্কেট তখন ভাংঙা পড়বে। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ঘরসংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি।