ঐতিহ্যবাহী নকশায় পাহাড়ে নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের মাচাং ঘর। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ২৩০টি পরিবার পাচ্ছে সেগুলো। ঘর পেয়ে খুশি জুমিয়া পরিবারগুলো।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে সেমি পাকা ঘর। তবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এ চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
পাহাড়ের বাস্তবতায় নকশার পরিবর্তন এনে পাহাড়িদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে দরিদ্রদের জন্য তৈরি হচ্ছে মাচাং ঘর। নিজেদের চাহিদা অনুসারে উপহারের এমন ঘর পেয়ে কৃতজ্ঞ পাহাড়িরা।
পাহাড়িরা বলেন, “মাচং ঘর পেয়ে সবাই খুশি। প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন, খুবই ভালো হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।”
এসব মাচাং ঘর পাহাড়ি পরিবেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মার্মা বলেন, “এই মাচং ঘর তৈরিতে এখানকার ঐতিহ্য রক্ষা করা হয়েছে। সেই সাথে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক হয়ে উঠবে।”
পাহাড়ে ঐতিহ্য রক্ষায় মাচাং ঘর তৈরি করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, “২৩০টি ঘর মাচাং আকৃতির হবে। যেটি এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। বান্দরবান যেমন ভূতাত্ত্বিক ভাবে যেমন ভিন্ন ঠিক তেমনি জাতিসত্তা দিক দিয়েও ভিন্ন।”
প্রশাসনের তথ্য মতে, বান্দরবানে পর্যায়ক্রমে প্রায় তিন হাজার পরিবারকে দেয়া হবে এসব মাচাং ঘর।