নিউজ ডেস্ক:
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আরও সংহত করবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ ৷ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি ৷
আজ বুধবার নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লি) স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান ৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন উদ্বোধন করেন ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ৷
রোসাটম মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেন, এই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন একটি মাইল ফলক অর্জন। প্রথম ইউনিটেরও অনেক কাজ হয়েছে। কংক্রিটের মূল কাজ ৮ মাস আগেই হয়েছে। সক্রিয়ভাবে কাজ করে আমরা আগামী বছর ফ্রেশ পারমাণবিক ফুয়েল (জ্বলানি) লোডিং করার চেষ্টা করছি। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে বিশেষজ্ঞরা পরিচালনার কাজ করবে তাদের আমরা তৈরি করছি। ইতোমধ্যেই আমরা ৬২০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পুরোপুরি প্রশিক্ষণ নিয়েছে ৩০০ জন। আরো ২৪০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আমরা আরো বিশেষজ্ঞ তৈরি করব। তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করবে।
অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেন, আমি বলতে চাই, কর্তৃপক্ষের (বাংলাদেশ) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে না পারলে এত অগ্রগতি হতো না। যৌথভাবে কাজ করার ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি উল্লেখ করে রোসাটম মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি, আপনারা রক্ষা করুন।’ এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আরও সংহত করবে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, তার সাহসের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস দেশটিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তার একটি অংশ। আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।