নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঠেকাতে গঠিত সরকারের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার হলফনামার মাধ্যমে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন বিএফআইইউ’র প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
যে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় বিএফআইইউ, সেগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চায়না।
হলফনামা প্রতিবেদনে দেশগুলোর সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স বা এমএলএ চুক্তির কথা বলেছে বিএফআইইউ।
কোন কোন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে- তা জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএফআইইউকে অনুরোধ করে। পরে বিএফআইইউ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির যৌক্তিকতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানায়।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্পর্কিত মামলার তথ্য-প্রমাণ বিদেশি রাষ্ট্র থেকে যথাসময়ে না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই অনুরোধ এসেছিল বলেও হলফনামা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিএফআইইউ।
অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে বিদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করা এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রস্তাবিত রিসার্চ সেল এ লোকবল পদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ওই সেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত লোকবল পদায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।