নিউজ ডেস্ক:
আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার সহজ শর্তে ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। যা বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) প্রায় ৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। রোববার (২৪ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় ২০২১ সাল হতে ২০২৫ সালের মধ্যে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন সই করেছেন। চুক্তি অনুষ্ঠানে কোরিয়া দূতাবাস, কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক এবং ইআরডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এই ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় যে সব ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে তার প্রতিটির বাৎসরিক সুদের হার হবে মাত্র ০.০১ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় হিসাবে পাওয়া যাবে ৪০ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড (রেয়াতকাল) থাকবে ১৫ বছর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৪৬ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলারের ১৫টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ৬৬ কোটি ৬২ লাখ ডলারের ৮টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান।
কোরিয়া সরকার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১৩৩ কোটি ডলার নমনীয় ঋণ মঞ্জুর করেছে, যা তার উন্নয়ন অংশীদার দেশসমুহের মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ।
স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এ নমনীয় ঋণ সহায়তা ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে বর্তমান অর্থবছরে অর্থ বিভাগের অধীনে সাসটেইনেবল রিকভারি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ১০ কোটি ডলার ব্যয় হতে পার।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে বিআরটিসির বাস্তবায়িতব্য প্রকিউরমেন্ট অব সিঙ্গেল ডেকার এসি বাস প্রকল্পে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ঢাকা ওয়াসার বাস্তবায়িতব্য ‘এস্টাবলিস্টমেন্ট অব এ মর্ডান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর ঢাকা ওয়াসা’ শীর্ষক প্রকল্পে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ চুক্তি হতে পারে।