মঙ্গলবার , সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / পরিদর্শনে গিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেখলেন স্কুল বন্ধ

পরিদর্শনে গিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেখলেন স্কুল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেস স্কুল বন্ধ। বুধবার উপজেলার নেংটাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এই চিত্র দেখেন তিনি । এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগের কথা শুনে গত বুধবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী আকস্মিক ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সকাল সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য কোনো শিক্ষকের দেখা পাননি। বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত দুইশত ৩৩জন শিক্ষার্থীর কেউই উপস্থিত ছিলনা। পরে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন বিদ্যালয় খোলা হয়নি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয় নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ছিল। শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীরাও যায় না। প্রধান শিক্ষকও নাকি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। মাঝে মাঝে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান, কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত নেই। সকাল থেকে খোলাও হয়নি।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভাল না। কিন্তু তা পরিস্কারের অভাবে চারপাশ নোংরা আবর্জনায় ভরপুর। এসব বিষয়ে বুধবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ বিদ্যালয়ের কাজে বাহিরে থাকে তাকে বাদ দিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রধান শিক্ষক জহুরা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন সহকারী ও একজন প্রধান শিক্ষক দ্বায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে আমি ও একজন সহকারী শিক্ষক বই নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে ছিলাম। একজন ট্রেনিংয়ে, একজন উপকরণ কিনতে ও দুইজন শিশু জরিপের কাজে বাহিরে ছিল। যার কারনে স্কুল বন্ধ ছিল। বিদ্যালয় বন্ধ করে এই সমস্ত কাজ করার কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের ট্রেনিংয়ে বিদ্যালয় বন্ধ করে যাওয়া কথা বলেছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ সহকারী শিক্ষকের কেউ বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নেটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের জবাব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও দেখুন

সিংড়ায় ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লো শতবর্ষী বৃক্ষ মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের শতবর্ষী গাছ বৃক্ষ মানিক আকর্ষিকঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। শতবর্ষী এই …