নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী:
ঈশ্বরদীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামী রুবেল কতৃক স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফৌজদারী কারাবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে আসামী এ তথ্য প্রদান করে। জবানবন্দিতে জানা যায়, সোনীয়ার সাথে ৬/৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয় রুবেলের। হামিন (৬) নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে টানাপোড়ন ছিল। অভাব- অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে রুবেল সৌদি আরব যায়। এর মধ্যে সোনিয়া পাকশি ইপিজেডে চাকরী ও নিয়ে নেয়।
নিয়মিত তাদের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ও হতো। বেশ কিছুদিন ধরে আবার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। রুবেল সন্দেহ করতে থাকে যে, তার স্ত্রী সোনিয়া নিশ্চয় কোন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেছে। সেই ভাবনা থেকেই রুবেল গত ২৮ সেপ্টেম্বর সৌদিআরব থেকে ঢাকায় চলে আসে। এমনকি স্ত্রী সোনিয়া তার ছেলে হামিন সহ তাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে ঐদিনই ঈশ্বরদীর বাবু পাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় উঠে।
২৮ সেপ্টম্বর রাতে সোনিয়ার মোবাইলে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে কল আসাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে রান্নাঘরে রাখা বটি দিয়ে রুবেল তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ছেলে হামিনকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, ২৮ অক্টোবর সোনীয়ার লাশ উদ্ধারের পর জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী নিদেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাসুদ আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রোকনুজ্জামান সরকার এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওসি, ঈশ্বরদী থানা অরবিন্দ সরকার এবং এসআই সুব্রত ঘোষ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানা এলাকা হতে আসামী রুবেল কে গ্রেফতার করে এবং তাদের শিশু সন্তান হামিন কে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে আসামীর দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়।
আরও দেখুন
লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …