নিউজ ডেস্ক:
পদ্মা সেতুর কাছে একটি উপযুক্ত স্থানে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’ নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নির্মাণে যেসব যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব নিয়ে ওই জাদুঘর হবে। এ ছাড়া আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী সেতুটির নির্মাণ শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রী-সচিব ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ছবি তুলবেন।
একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভায় একনেক আনুমানিক ১০ হাজার ৮৫৫.৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠকের পর পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী সড়ক ও উড়ালসেতুর সঙ্গে যুক্ত—এমন একটি মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত উপযুক্ত স্থানে একটি পদ্মা সেতু জাদুঘর
করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ওই জাদুঘরে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন সেতুটির নির্মাণ শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রী-সচিব ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ছবি তুলবেন।
পদ্মা সেতুকে ‘জাতির গর্ব’ ও প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাহসিকতার প্রতিফলন হিসেবে আখ্যায়িত করে শামসুল আলম বলেন, মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি বিবেচনায় আনলে সেতুটির সার্বিক ব্যয় মোটেই খুব বেশি নয়।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকার মতো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই সেতুর জন্য তহবিল ফিরিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপটের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রীই নিজস্ব তহবিলে সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্তে সুদৃঢ়ভাবে অটল ছিলেন। ’
তিনি বলেন, তবে এর পাশাপাশি, আবুল বারকাত, আতিউর রহমানের মতো কয়েকজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে সরকারের সামর্থ্যের কথা তুলে ধরেন। যদিও অনেকেই তখন বিদেশি আর্থিক সহায়তা ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ সম্ভব নয় বলে তাঁদের মত দিয়েছিলেন।