নিউজ ডেস্ক:
পদ্মা সেতুতে রেলিং বসানো শুরু হয়েছে। শুক্রবার সেতুর মাওয়া প্রান্তের যানবাহন উঠার লেনে এবং জাজিরা প্রান্তে যানবাহন নামার লেনে পরীক্ষামূলকভাবে এই রেলিং স্থাপন করা হয়।
৫৭৫টি রেলিং বহনকারী পঞ্চম কন্টেনারটি ৮ এপ্রিল ফেলিক্সস্টো হয়ে মের মাঝমাঝি সময়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে। বাকি ১৬৩টি রেলিং ১২ এপ্রিল তৈরি হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশে পৌঁছবে আকাশপথে। প্রথম কন্টেনারটি ১৮শ’ পোস্ট বহন করে এপ্রিলের শেষের দিকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছবে। দ্বিতীয় কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে মের প্রথম দিকে। বাকি রেলিং পোস্টগুলো আকাশপথে ঢাকা আনা হবে। এরপর গাড়িযোগে মাওয়ার প্রকল্প এলাকায় নিয়ে আসা হবে। ব্রিটেন থেকে সেতুর রেলিং ও দুবাই থেকে সেতুর রেলিং পোস্টও যথাসময়ে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। আর তাই উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। প্রকৌশলীরা জানান, মূল সেতুর দুই পাশে প্যারাপেট ওয়ালের ওপরে রেলিং বসবে সাড়ে ১২ কিলোমিটার। মাওয়া প্রান্তের ১ দশমিক ৪৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সেতুতে রেলিং লাগবে ২ দশমিক ৯৫৬ কিলোমিটার। আর ১ দশমিক ৬৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাজিরা সংযোগ সেতুতে (ভায়াডাক্টে) ৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেলিং বসবে। তাই সব মিলে ১৮ দশমিক ৫৯৬ কিলোমিটার রেলিং বসবে। ৬ মিটার দীর্ঘ প্রায় ৩ হাজার ১০০পিস রেলিং স্থাপন হবে পদ্মা সেতুতে। আগেই বিমানে নিয়ে আসা ২০৪ মিটার রেলিং ৬ মিটার দীর্ঘ ৩৪টি রেলিং এবং ৭০টি রেলিং পোস্ট আগেই বিমানে চলে আসে। এগুলো এখন পরীক্ষামূলকভাবে সেতুতে স্থাপন করা হচ্ছে। সেতুতে রেলিং স্থাপনের পর সেতুর সৌন্দর্য্য বেড়ে গেছে। সেতুর কাজ জুনে শেষ করার লক্ষ্য সফলভাবে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।