নিউজ ডেস্ক:
লকডাউনে ই-কমার্সের পণ্যসামগ্রী পরিবহন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী পরিবহন ও সরবরাহে উৎসাহিত করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক হবে বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। তবে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলের ওপর শর্তসাপেক্ষে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এর ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল গতকাল মঙ্গলবার দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে খাদ্য, কৃষিজ পণ্যসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক ও যানবাহন সার্বক্ষণিক চলাচল করতে পারবে। অনলাইন বা ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাকাটাকে উৎসাহিত করা হবে। পণ্য সরবরাহকারী (ডেলিভারিম্যান) দুপুর ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পণ্যাগার (ওয়্যারহাউজ) খোলা রাখা যাবে।
এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁগুলোর রান্নাঘর দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। অনলাইনে পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্তও রান্নাঘর খোলা রাখা যাবে। কখনই রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ যারা করবেন, তারা কোনো অবস্থাতেই রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে ঢুকতে পারবেন না। রান্নাঘরের বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে গ্রাহকের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে।
পণ্য সরবরাহকারী ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান। সরবরাহকারী ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) লোগো এবং ক্রমিক নম্বর সংবলিত পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। ই-ক্যাব সদস্যদের পরিচয়পত্রও দেবে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নিত্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতা করতে একটি নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হলে সহযোগিতার জন্য ০১৭১২-১৬৮৯১৭, ০১৭৩৮-১৯৫১০৬ ও ০১৭৫৬-১৭৩৫৬০ এই তিনটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।