নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৬৯ দিন পর ৭ শতাংশের নিচে নামল করোনার সংক্রমণ হার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর চেয়ে কম ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ সংক্রমণ হার ছিল গত ১১ এপিল। পরদিনই তা বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর আর কখনো শনাক্তের হার ৭ শতাংশের নিচে নামেনি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে এমনটা দেখা গেছে।
গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯৯১ জনকে নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলো ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জনের দেহে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২০ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৪৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৯ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রথম রোগী শনাক্তের এক মাস পর থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ হার। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাইরাসটি তান্ডব চালায় বাংলাদেশে। ৩ আগস্ট ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ সংক্রমণ হারের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর চেয়ে বেশি সংক্রমণ হার ছিল শুধু ১৮ মার্চ, যখন তীব্র উপসর্গ থাকলেই করোনা পরীক্ষা করা হতো। সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণ হার কমতে শুরু করে। ১২ নভেম্বর ১১ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এরপর আবার বাড়তে শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় সংক্রমণ হার। পরদিন থেকে আবার কমতে শুরু করে প্রায় ৯ মাস পর গতকাল ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসে সংক্রমণ হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলেই তাকে নিরাপদ সংক্রমণ বলা যাবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন পুরুষ ও ৪ জন নারী। হাসপাতালে ১৯ জন ও বাড়িতে ১ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৮ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ৮ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ২ জন চল্লিশোর্ধ্ব ও ২ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৪ জন ঢাকা, ২ জন করে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ এবং ১ জন করে খুলনা ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।