নিউজ ডেস্ক:
দেশের মানুষের কাছে নৌকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। দেশবাসী জানে, নৌকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক এবং নৌকা ছাড়া তাদের গতি নাই। কেননা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়, বরং অনেক মানুষের ভাগ্য গড়তে এবং জন্মলগ্ন থেকে সেই আদর্শ নিয়েই রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের গতি নাই। আজ বন্যায়ও তো নৌকার জন্য হাহাকার। আওয়ামী লীগ শুধু স্বাধীনতাই দেয়নি, স্বাধীনতার সুফলও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নেতৃত্বশূন্য কোনো দল নির্বাচন করবে আর জনগণ ভোট দেবে কী দেখে। ওই চোর, ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মস্যাৎকারী অথবা খুন, অস্ত্র চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের জনগণ ভোট দেবে দেশ পরিচালনার জন্য? তারা তো তা দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পদ্মা সেতু করেছি নিজেদের অর্থে অথচ এটা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তোলে, যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা, তারা আবার প্রশ্ন তোলে কোন মুখে? সে প্রশ্নও তিনি উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা তো কিছুই করে যেতে পারেনি। জাতির পিতা তার প্রথম জাপান সফরে যে যমুনা সেতু করার উদ্যোগ নেন, সেটা তাকে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা জিয়াউর রহমান বন্ধ করে দেন। পরে এরশাদ ক্ষমতায় এসে আবার উদ্যোগ নেন সেতুটি করার। কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর সেতুর কাজ খুব বেশি এগোতে পারেনি, কারণ সব জায়গায় তাদের ছিল কমিশন খাবার অভ্যাস। মায়ের জন্য, দুই ছেলের জন্য, ফালুর জন্য-অমুক-তমুককে ভাগে ভাগে দিতে দিতে সেখানে আর কেউ কাজ করতে পারত না। ’৯৬ সালে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ এই যমুনা সেতুর সঙ্গে রেললাইন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন জুড়ে দিয়ে একে বহুমুখী করেছে। সরকার সে সময় বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ না শুনে সেখানে যে রেললাইন সংযুক্ত করে, পরবর্তীকালে সেটাই সবচেয়ে লাভজনক প্রতীয়মান হয়। যে কারণে নতুন একটি ডেডিকেটেড রেল সেতু করার জন্য তারা আবারও ফিরে আসে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ এ দেশের পল্লী প্রকৃতি এবং মাটি ও মানুষের কল্যাণ যতটা উপলব্ধি করতে পারে আর কেউ ততটা বুঝবে না। কারণ তাদের মনে এখনো রয়ে গেছে ‘পেয়ারা পাকিস্তান’। তা ছাড়া জিয়া, খালেদা, এমনকি এরশাদ কারো জন্মই বাংলাদেশে নয়। যেমনটি তিনি এবং জাতির পিতা এই মাটিরই সন্তান।
আলোচনাসভায় সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বক্তৃতা করেন। আরো বক্তৃতা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও আবু আহমেদ মান্নাফী।