রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীর হাতের রগ কাটলো পাষণ্ড স্বামী!

নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীর হাতের রগ কাটলো পাষণ্ড স্বামী!

নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:নেশা ও জুয়ার টাকা না পেয়ে নাটোরের লালপুরে আলিয়া বেগম (৫০) নামের এক নারীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী আরিফ হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার  চন্ডিগাছা গ্রামে এঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাড়ীর গরু বিক্রয় করে নেশা করার  ও জুয়া খেলার জন্য টাকা চায় আলিয়ার স্বামী আরিফ। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় চাপাতি দিয়ে আলিয়ার হাত কুপিয়ে জখম করে তার পাষণ্ড স্বামী । চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আলিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

আলিয়ার বোনের ছেলে রাকিবুল জানান, আমার খালু একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এর আগেও আমার খালা মাদক গ্রহণ করতে মানা করায় আমার খালু খালার পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। রাকিব আরো জানান, এর আগে আমার খালুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়ে ছিলো। কিন্তু পুলিশ এসে খালুর সাথে কথা বলে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। এতে তার সাহস বেড়ে যায়। সেই কারণে খালু তার খালাকে এইভাবে নির্যাতনের সাহস পেয়েছে। তিনি আরো জানান, খালুর ভাই তবিজও মাদক ব্যবসাসী। খালাকে রাজশাহী থেকে আনার পর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

এব্যারে আলিয়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে আলিম জানান, আমার বাবা মাদক ব্যবসা করেন এবং মাদক গ্রহণ করেন বলে সমাজে মুখ দেখাতে পারিনা। তাই আমার আব্বাকে এগুলো ছাড়তে বলেছিলাম। তখন আমার আব্বা আমাকে হাসুয়া নিয়ে মারতে তাড়া করেছিল। আমি আমার মায়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।

 এবিষয়ে আব্দুলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিরেন্দ্রনাথ বলেন,বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *