ঢাবিতে সংঘর্ষের সূত্রপাতের ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে এসেছে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের অনুসারী মশিউর, মাহফুজ ও ইয়ামিনসহ বহিরাগত আরো বেশ কিছু যুবক ডাকসু কার্যালয়ের সামনে লাঠি, রড নিয়ে অবস্থান করে। এতে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীদের সামনে আসার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে নুরুর অনুসারীরা।
এসময় তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীদের উত্তেজিত করতে নানা অসামঞ্জস্য কথা বলতে থাকে। উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের ‘সাহস থাকলে সামনে আসার জন্য’ চিৎকার করতে দেখা যায়। একসময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাথে জড়িত বেশ কিছু সাধারণ ছাত্র ডাকসু ভবনের সামনে এলে তাদের উপর আক্রমণ করে নুরুর অনুসারীরা। এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বহিরাগত বেশ কিছু যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি নুরুর ও বাকিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে ঢাবি উপাচার্য হাসপাতালে গেলে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বহিরাগতরা যে নুরুরই অনুসারী, তা স্বীকার করেন নুরুল হক নূর।
বহিরাগত যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কোটা আন্দোলনের যুগ্মআহ্বায়ক এপিএম সোহেল (২৭), বাংলা কলেজের ইকোনিমিকস ৩য় বর্ষের ছাত্র ও কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ হোসেন (২১), ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগ শেষ বর্ষের ছাত্র মো. রাসেল সরকার (২৫), ঢাকা কলেজের ছাত্র সুমন (২২), কবি নজরুল কলেজের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (২৫), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আরিফুল ইসলাম (২৫)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদেরদের সশস্ত্র যাতায়াত ভালোভাবে নিচ্ছেন না কেউই। ডাকসু ভিপির দায়িত্ব যখন সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে উল্টো ভিপিই ইন্দন দিচ্ছেন সন্ত্রাসবাদের। বর্তমানে ভিপি পদ থেকে সমালোচিত নূরের ইস্তফা চাচ্ছেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।