শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একবারেই শূণ্যের কোঠায় চলে আসছে দেশে জঙ্গী হামলা। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন যেখানে প্রায় প্রতিনিয়তই দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জঙ্গী হামলা হতো সেখানে এখন হামলা নেই বললেই চলে। দেশ থেকে জঙ্গীবাদকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে ১২টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। ৩৩টি জঙ্গী সংগঠনের তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যে তা পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
যেসব জঙ্গী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো- ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, তামীরউদ্দীন বাংলাদেশ, তৌহিদী ট্রাস্ট, হিজবুত তাওহিদ, শাহাদত-ই-নবুয়ত, জামাত-আস-সাদাত, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, মুসলিম মিল্লাত, আল হারাত-আল-ইসলামিয়া, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট, তৌহিদী জনতা, জুমাদআতুল আল সাদাত, তামিরউদ্দীন দ্বীন বাংলাদেশ, আল খিদমত, হিজবুল মাহদি, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, দাওয়াতি কাফেলা, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল ইসলাম মার্টেনস ব্রিগেড, জমিয়ত আহলে হাদিস আন্দোলন, তাজির বাংলাদেশ, হায়াতুর ইলাহা, ফোরকান মুভমেন্ট, জামিউতুল এহজিয়া এরতাজ, আনজুমানে তালামিজ ইসলামিয়া, কলেমার জামাত, সাহাবা পরিষদ, কাতেল বাহিনী, মুজাহিদীন-ই-তাজিম, এশার বাহিনী, আল ফাহাদ, হরকত-উল-মুজাহিদীন ও জাদিদ আল কায়দা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দেশকে জঙ্গীমুক্ত করতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহর দল নামের একটি জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গী তৎপরতার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নব্য জেএমবিসহ কয়েকটি সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। বিশেষ করে নব্য জেএমবিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
এদিকে জঙ্গীবাদ নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। বৈঠকে জঙ্গী সংগঠন সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেয়া হয়। এখনও যেসব সংগঠন সক্রিয় আছে তাদের বিষয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশে বারোটি সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। সংগঠনগুলোর কর্মকা- দ্রুত নিষিদ্ধ করতে বলেছে পুলিশ সদর দফতর। গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গী সংগঠনগুলোর সুপারিশের বাইরেও পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় এক ডজন জঙ্গী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়।