নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য মেরিটাইম সংস্থার জাহাজ, সাবমেরিন, টাগবোট, পন্টুন ও জেটি নির্মাণের সাফল্যের পর এবার খুলনা শিপইয়ার্ডে আধুনিকমানের ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফায়ার ফ্লোট নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে এই শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জন্য দুটি আধুনিক ও উন্নতমানের ফায়ার ফ্লোটের (অগ্নিনির্বাপক বোট) নির্মাণ কাজ চলছে। এই দুটি ফায়ার ফ্লোট নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর কানাডার রবার্ট এলান লিমিটেড থেকে বেসিক ডিজাইন আনা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফায়ার ফ্লোট দুটির প্রোডাকশন ডিজাইন করেছে খুলনা শিপইয়ার্ডের ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং বিভাগ। আধুনিকমানের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ফায়ার ফ্লোট নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
আধুনিক ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই দুটি ফায়ার ফ্লোট সাগর ও নদীতে চলাচলরত অগ্নি দুর্ঘটনায় পড়া বড়ো বড়ো জাহাজ, বার্জ, কার্গোসহ বিভিন্ন ধরণের নৌযান এবং নদী পাড়ের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অগ্নিনির্বাপণ কাজে ব্যবহৃত হবে।
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড (খুশিলি) সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জন্য চারটি ফায়ার ফ্লোট (অগ্নিনির্বাপক জলযান) নির্মাণ করা হয়েছে। এই চারটি ফায়ার ফ্লোটের নির্মাণ ব্যয় পড়েছিল প্রায় ২৯ কোটি টাকা। তবে খুলনা শিপইয়ার্ডে বর্তমানে কানাডার রবার্ট এলান লিমিটেডের ডিজাইন করা যে দুটি ফায়ার ফ্লোট নির্মাণের কাজ চলছে, তা আগের চারটি ফায়ার ফ্লোটের চেয়ে আরো আধুনিক, উন্নতমানের ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন।
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (খুশিলি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম সাজেদুল করিম বলেন, কেনাকাটায় সচ্ছতা এবং উত্পাদনের মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো আধুনিকায়ন হবে। অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড উইপন ওয়ার্কশপ স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।