নিউজ ডেস্ক:
পরিপত্রে রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ণ না করতে পারে, তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি রোববার এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেয়।
পরিপত্রে রিটার্নিং অফিসারদের ছয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সকলের নিকট সমুজ্জ্বল ও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:
(১) বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ণ না করতে পারে, তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
(২) নির্বাচনের ন্যায় একটি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এমন কোনো কাজ করবেন না, যারা দ্বারা তাদেরকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তারা যে পক্ষপাতদুষ্ট এমন ধারণা যাতে সৃষ্টি না হয়, তার নিশ্চয়তা বিধানকল্পে প্রতিটি কাজে আইন ও বিধির যথার্থ প্রয়োগ ও অনুসরণ করতে হবে।
(৩) জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্য নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ কর্তৃক নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৫) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো প্রকার অশুভ কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সতর্ক থাকিবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করতে হবে
(৬) ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’